পারিশ্রমিক হিসেবে পেয়েছিলেন গাড়ি, জানালেন শ্বেতা

অয়ন শীল গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই সামনে চলে এসেছে মডেল শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম। একাধিক প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয়েছে শ্বেতাকে। তবে শ্বেতা জানিয়েছেন, অয়নকে তিনি চিনতেন। আর চুঁচুড়ায় যে ফ্ল্যাট কেনার কথা ছিল শ্বেতার তা অয়নের সূত্রেই। এই প্রসঙ্গে শ্বেতা এও জানান, তাঁর কাছে ফ্ল্যাটের এগ্রিমেন্টের নথিও রয়েছে। পরবর্তীকালে ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশন না হওয়ার কারণে ছেড়ে দিই। এরপর সেই টাকা ফেরত দেন অয়ন। এই সব নথিও রয়েছে শ্বেতার কাছে। প্রয়োজন পড়লে তা তিনি দেখাতেও পারবেন। সেই ফ্ল্যাট ছেড়ে দেওয়ার কারণেই উনি সেই টাকা আমাকে ফেরত দেন।’ এদিকে ইডি-র সূত্রে খবর, অয়নের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নথি থেকে শ্বেতার নাম পাওয়া গিয়েছে। এমনকী একটি হন্ডা সিটি গাড়ি কেনারও নথি মিলেছে। গাড়ি প্রসঙ্গে শ্বেতার বক্তব্য, শ্বেতা অয়নের প্রোডাকশন হাউজে কাজ করেছেন। সেই কারণে উনি আমাকে ওই গাড়িটি ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন। আর যে টাকা পেতেন অয়নের থেকে তারই বদলে দেওয়া হয় এই গাড়িটি। অর্থাৎ, পারিশ্রমিক হিসেবেই গাড়িটি দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে ইডি-র তরফ থেকে এও দাবি করা হয়েছে, কামারহাটি পুরসভা এলাকায় একটি ফ্ল্যাটের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, সেই ফ্ল্যাটে মামা-ভাগ্নী পরিচয়ে অয়নের সঙ্গে থাকতেন শ্বেতা। সেই প্রসঙ্গেও এদিন মুখ খুলেছেন তিনি। শ্বেতা এই প্রসঙ্গে জানান, ‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা। উনি ওখানে কোনওদিনই থাকতেনই না।’ অয়নের সঙ্গে যোগাযোগ সম্পর্কেও শ্বেতা জানিয়েছেন, অয়ন আর শ্বেতা একই সঙ্গে পঞ্চায়েত দফতরে চাকরি করতেন। সেখান থেকেই অয়নের সঙ্গে ২০১৮ সালে আলাপ হয়। তবে এর পাশাপাশি শ্বেতা এও জানান, অয়নের সংস্থা এবিএস ইনফোজোন সম্পর্কে কিছুই জানেন না। পাশাপাশি এও জানান, ‘অয়নের প্রোডাকশন হাউজের ছবিতে কাজ করেছি কবাডি কবাডি ছবিতে। এছাড়াও কাউন্টিং নামের একটি শর্ট ফিল্মে কাজ করেছি। ছবিটি কেন মুক্তি পেল না, সেটা আমি বলতে পারব না। পারিশ্রমিক নিয়ে কোন লিখিত চুক্তি হয়নি, মৌখিক কথা হয়েছিল। ব্যবহার করার জন্য উনি আমাকে গাড়িটি দেন, পরবর্তীকালে গাড়িটি ফেরত দিয়ে দিই।’ একইসঙ্গে শ্বেতা জানান, তিনি চিনতেন অয়নের স্ত্রী কাকলিকেও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − 8 =