নিজস্ব প্রতিবেদন, আসানসোল: মঙ্গলবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক তথা ডিস্ট্রিক্ট ইলেকশন অফিসার এস পোন্নাবলমের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী পুনম সিনহা, দুই ছেলে লব ও কুশ। ইলেকশন এজেন্ট অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন তরফে দাসু ও আসানসোল পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক, ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হক।
তার আগে আসানসোলের জিটি রোড সংলগ্ন রবীন্দ্র ভবনের সামনে থেকে দলের প্রার্থীর মনোনয়নের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। এই শোভাযাত্রায় ছিল বিশাল আকৃতির ধামসা সহযোগে আদিবাসী নৃত্য, মহিলা ঢাকি, রঙিন বেলুন সহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কাট আউট। শত্রুঘ্ন সিনহা জানান, সুস্থ ভাবে মনোনয়ন জমা হল। রেকর্ড ভোটে জয় হবে বলে বিশ্বাস তার। শত্রুঘ্ন জায়া পুনম সিনহার দাবি, আগের বারের থেকেও বেশি মার্জিনে জয় হবে বিহারীবাবুর। হুডখোলা গাড়িতে প্রার্থীর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক, জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায় সহ জেলার নেতারা।
একইদিনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন বিজেপি প্রার্থী সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়া। পশ্চিম বর্ধমান জেলাশাসকের অফিসে এসএস আলুওয়ালিয়া, তাঁর স্ত্রী মনিকা সিং আলুওয়ালিয়া, তাঁদের দুই ছেলে, বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি, বিজেপি জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। এদিন মনোনয়ন উপলক্ষে বিজেপি কোনও বর্ণাঢ্য মিছিল হয়নি। আলুওয়ালিয়া জানান, সোমবার বিকেলে তিনি বড় মিছিল করেছেন এবং মনোনয়নের দিন শান্তি মনে তিনি সংস্কার মেনে শুধুমাত্র পরিবার ও বিশেষ নেতৃত্বকে নিয়েই মনোনয়ন জমা করেন। তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিদ্ব¨µী প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ করি না। দুই সেলিব্রিটির লড়াই নয়। দুই দলের বিচারধারার লড়াই হবে এখানে।’
শত্রুঘ্ন প্রসঙ্গে আলুওয়ালিয়া জানান, অতীতে তিনি বিজেপির মন্ত্রী ছিলেন। বর্তমানে তিনি দল বদলাতেই পারেন, কিন্তু বিজেপিতে থেকে গতকাল যাঁকে ভালো বললেন আজকে তাঁকে খারাপ বলছেন। নীতি আদর্শ বা বিচারধারা নিয়ে বক্তব্য না রেখে ব্যক্তি আক্রমণ করছেন যা কাম্য নয়।
এদিন বাম কংগ্রেস মনোনীত সিপিএম প্রার্থী জাহানারা খান মনোনয়নপত্র জমা দেন। এদিন জাহানারা খান অভিযোগ করে বলেন, তৃণমূল-বিজেপি দু’টি দলই নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করে প্রচার করছেন এলাকায়। কমিশনে তার অভিযোগও করা হয়েছে। যেখানে আসানসোলের জ্বলন্ত সমস্যাগুলি নিয়ে ওয়াকিবহাল নন তৃণমূল-বিজেপি, সেখানে তিনি ভূমিকন্যা হয়ে এলাকার সমস্ত সমস্যার কথা জানেন। ভবিষ্যতে এই জ্বলন্ত সমস্যা সমাধানে তিনি লড়াই চালিয়ে যাবেন। উপস্থিত ছিলেন সিপিএম নেতা পার্থ মুখোপাধ্যায়, প্রাক্তন বিধায়ক রুনু দত্ত সহ অন্যরা।