আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হল সুদীপ্ত রায়কে। সুদীপ্তবাবুর বদলে সেখানে নতুন চেয়ারম্যান হলেন ডাঃ শান্তনু সেন। সোমবারই এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্বাস্থ্যভবন। এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় যে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদে ডিপার্টমেন্ট রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনকে মনোনীত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শ্রীরামপুরের বিধায়ক সুদীপ্ত রায় এই পদে ছিলেন। তবে এদিনের এই আচমকা এই বদল নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেদর অনেকেরই ধারনা, এটা ডানা ছাঁটা।২০২১ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ আরজিকর স্বাস্থ্য ভবনে প্রায় ২ ঘণ্টা বৈঠকের পর আরজিকর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হিসাবে সুদীপ্ত রায়ের নাম ঘোষণা করা হয়। এর বাইরে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন তিনি। এই সুদীপ্ত রায়ের সময়ে নানা বিতর্কেরও অভিযোগ ওঠে।এরপরই এদিন এই বদলির বিজ্ঞপ্তি স্বাস্থ্যভবন থেকে।
তৃণমূল এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর শান্তনু সেন, নির্মল মাজিরাই চিকিৎসক নেতা হিসাবে বিভিন্ন হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির রাশ রেখেছেন তাঁদের হাতেই। তবে হঠাৎ-ই কলকাতার আইএমএ শাখার নির্বাচন ঘিরে নির্মল-শান্তনুর সম্পর্কের সমীকরণ বদলাতে শুরু করে।এরপরই সুশান্ত রায়, সুদীপ্ত রায়দের উত্থান বলে সূত্রে খবর। সুশান্ত রায় উত্তরবঙ্গের ওএসডি। অন্যদিকে সুদীপ্ত রায় দক্ষিণবঙ্গের একাধিক হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ পদ পান। আরজি কর হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির পাশাপাশি ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের রোগীকল্যাণ সমিতিতেও শক্তি বাড়ে তাঁর। ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলের ভোটেও শাসকগোষ্ঠীর জয়ের অন্যতম কারিগর হিসাবে তাঁদেরই মনে করেন চিকিৎসকমহলের একাংশ। এদিকে প্যানেল বিতর্ক থেকে চিকিৎসক বদলি বিতর্ক সবেতেই অভিযোগের আঙুল ওঠে সুদীপ্ত রায়ের দিকে। এদিকে সম্প্রতি কলকাতা মেডিক্যালে বদলি বিতর্কে নেফ্রোলজির ওপিডি বন্ধ রাখার মতো ঘটনাও সামনে আসে। এমনই এক প্রেক্ষিতে আরজি করের রোগীকল্যাণ সমিতি থেকে সরানো হল সুদীপ্ত রায়কে।