পঞ্জাবের কাছে লজ্জার আত্মসমর্পণ, প্লে-অফের আশা শেষ দিল্লির

ঘরের মাঠে মরণ বাঁচন খেলতে নেমেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি ক্যাপিটালস অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। শুরুটাও মন্দ হয়নি। পঞ্জাব কিংস অধিনায়ক শিখর ধাওয়ানকে ইনিংসের দ্বিতীয় এবং নিজের প্রথম ওভারেই ফেরান ইশান্ত শর্মা। আইপিএল কেরিয়ারের শততম ম্যাচে নেমেছিলেন ইশান্ত। শুরুতেই পঞ্জাবের দু-উইকেট নেন। তখনও মনে হয়েছিল, ম্যাচ দিল্লির নিয়ন্ত্রণেই। তবে পঞ্জাবের তরুণ ওপেনার প্রভসিমরন সিংয়ের শতরান ম্যাচের রং বদলে দেয়। প্রভসিমরনের শতরানের সৌজন্যে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬৭ রান করে পঞ্জাব কিংস। রান তাড়ায় দুর্দান্ত শুরু থেকে বিপর্যয়। প্লে-অফের দৌড় থেকেও ছিটকে গেল দিল্লি ক্যাপিটালস। ৩১ রানে জিতল পঞ্জাব কিংস। ওপেনিং জুটিতে ৬৯ রান যোগ হওয়ার পর ১২৩ রানে অষ্টম উইকেট হারায় দিল্লি ক্যাপিটালস। দিল্লি ইনিংসে অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার ২৭ বলে ৫৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। পঞ্জাব কিংসের হয়ে ব্যাটিংয়ে প্রভসিমরন এবং বোলিংয়ে মূলত হরপ্রীত ব্রার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেন। ৪ ওভারে মাত্র ৩০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন হরপ্রীত। লেগ স্পিনার রাহুল চাহার ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। দিল্লির মন্থর পিচে ১৬৮ রানের লক্ষ্য সহজ নয়। তবে পঞ্জাবকে এর চেয়ে কম রানেই হয়তো আটকে রাখা যেত। প্রভসিমরনের ক্যাচ ফেললেন রাইলি রোসো। সে সময় ৬৮ রানে ছিলেন প্রভসিমরন। শেষ অবধি ১০৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন পঞ্জাবের এই তরুণ ওপেনার। রান তাড়ায় নেমে দিল্লি ক্যাপিটালসও অনবদ্য শুরু করে। এত দিন প্রশ্ন উঠছিল ডেভিড ওয়ার্নারের স্ট্রাইকরেট নিয়ে। এ দিন স্ট্রাইকরেট ভালো রেখে বিধ্বংসী ব্যাটিং করলেন। অর্ধশতরানও এল তাঁর ব্যাটে। কিন্তু দিল্লির ওপেনিং জুটি ভাঙতেই বিপর্যয়। পাওয়ার প্লে শেষ হতেই বোলিংয়ে বাঁ হাতি স্পিনার হরপ্রীত ব্রার। দলীয় ৬৯ রানে ফিল সল্টকে ফিরিয়ে দিল্লির ওপেনিং জুটি ভাঙেন হরপ্রীত। এরপরই বিপর্যয়। মাত্র ১৭ বলের ব্যবধানে ৫ উইকেট নেয় পঞ্জাব। ঘরের মাঠে পঞ্জাবের দুই স্পিনারকে সামলাতে হিমসিম খেলেন দিল্লি ব্যাটাররা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 − four =