একজন বিশ্বের দরবারে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন। পাকিস্তান দলের নিয়মিত সদস্য এবং আন্তর্জাতিক স্তরে ব্যাটারদের ত্রাস হয়ে উঠে এসেছেন। আরেকজন ক্রিকেট সার্কিটে সদ্যোজাত। সদ্য শেষ হওয়া আইপিএলে রীতিমতো নজর কেড়েছেন। তাঁর রাক্ষুসে গতি সামাল দিতে হিমশিম খেয়েছেন তাবড় তাবড় ব্যাটাররাও। কিন্তু প্রথমজন দ্বিতীয় জনকে যেন পাত্তাই দিতে চাইছেন না। প্রথম জন হলেন শাহিন আফ্রিদি আর দ্বিতীয় জন উমরান মালিক । আইপিএলে উমরানের রকেট উত্থান নিয়ে শাহিনের বক্তব্য, ‘শুধু গতি থাকলে হবে না। লাইন-লেন্থ না থাকলে কোনও লাভ নেই।’
২০২১ আইপিএলেই বিশেষজ্ঞদের নজর কাড়েন উমরান। সেই কারণেই ৪ কোটি টাকা দিয়ে তাঁকে ধরে রাখে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ২০২২ মরশুমে এসে তাঁর প্রতিভা যেন মঞ্চ পেয়ে যায়। ধারাবাহিকভাবে দ্রুত গতিতে বল করতে থাকেন। আর তুলে নেন একের পর এক উইকেট। আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ১৫৬.৯ কিলোমিটার গতিতেও বল করতে দেখা গিয়েছে। যা কিনা ফাইনাল পর্যন্ত ছিল আইপিএলের দ্রুততম বল। উমরান নিয়মিত ঘন্টায় দেড়শো কিলোমিটারের বল করতে পারেন।
এই রকেট গতির ফলে সাফল্যও পেয়েছেন তিনি। টুর্নামেন্টে ২২টি উইকেট দখল করেছেন কাশ্মীরের তরুণ পেসার। যা কিনা পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ। অর্থাৎ রাবাদা, শামি, বুমরাহ, লকি ফার্গুসনদের থেকেও বেশি মারাত্মক ছিলেম উমরান। গতির জন্য যেমন সাফল্য পেয়েছেন, তেমন অবশ্য ভুগতেও হয়েছে। অতিরিক্ত গতির জন্য অনেক সময় অতিরিক্ত রানও খরচ করে ফেলেছেন। কিন্তু সব মিলিয়ে তরুণ ভারতীয় পেসারের উত্থান বেশ নজর কেড়েছে ক্রিকেট মহলের। যদিও শাহিন আফ্রিদি সাফ বলে দিয়েছেন,”ভাল লাইন লেন্থ না থাকলে শুধু গতি দিয়ে কিছুই হবে না।”
ভাবখানা এমন যেন উমরানকে তিনি বলে দিচ্ছেন, ‘লাইন-লেন্থে উন্নতি করতে না পারলে উমরান সফল হতে পারবেন না।’ শাহিন এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলার। সদ্যই আইসিসির বর্ষসেরা বোলার হয়েছেন। অনেকেই উদীয়মান উমরানকে তাঁর সঙ্গে তুলনা করছেন। সেটাই সম্ভবত না পসন্দ পাক পেসারের। সেজন্যই হয়তো প্রতিপক্ষকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না তিনি।