রঞ্জি ট্রফিতে প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে মহম্মদ সামি সাত-সাতটি উইকেট নিয়েছিলেন। এখনই তাঁকে অস্ট্রেলিয়ার বিমানে বসিয়ে দেওয়া হোক, এমনই দাবি করেছিলেন অনেকে। অস্ট্রেলিয়ার পরিবর্তে নির্বাচকরা তাঁকে আরও কিছুটা দেখে নিতে চেয়েছিলেন। সেই কারণে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে নামেন বঙ্গপেসার। সবার নজর ছিল সামির দিকেই। সামির মঞ্চে আলো ছড়িয়ে গেলেন বাংলার শাহবাজ আহমেদ। ৬ বল বাকি থাকতে বাংলা ৪ উইকেটে হারাল পাঞ্জাবকে।
প্রথমে ব্যাট করে পাঞ্জাব তোলে ১৭৯ রান। ১৯.৪ ওভারেই শেষ হয়ে যায় তারা। পাঞ্জাবের ইনিংসে সর্বোচ্চ রান করেন আনমোলপ্রীত সিং (৩৯)। তিনি ছাড়াও প্রভসীমরন সিং ৩৫ রান করেন। কিন্তু যে সামির দিকে সবার নজর ছিল, এদিন তিনি ব্যর্থই বলে দেওয়া যায়। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৪৬ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট নেন তিনি। রানও দিয়েছেন এই তারকা বোলার। উইকেট তুলতে পারেননি।
রান তাড়া করতে নেমে বাংলা যে ম্যাচটা জেতে তার পুরো কৃতিত্বই শাহবাজ আহমেদের। শুরু থেকেই বিপর্যয় নামে। ১০ রানে চার-চারটি উইকেট চলে যায় বাংলার। এর পরে সুদীপ ঘরামির সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়ে শাহবাজ বাংলাকে নিয়ে যান ১২০ রানে। ব্যক্তিগত ৪৩ রানে ফেরেন সুদীপ। তার পরেও লড়াই চালিয়ে যান শাহবাজ। তিনি ৪৯ বলে ১০০ রান করে অপরাজিত থেকে যান। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বাংলাকে জেতান শাহবাজ। তাঁর ১০০ রানের ইনিংসে ছিল ৬টি বাউন্ডারি ও ৭টি ওভার বাউন্ডারি। এক ওভার বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলা।