‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়শ্চেন’ বিতর্কিত এই তথ্যচিত্র প্রেসিডেন্সিতে দেখানোর উদ্যোগ এসএফআই-এর

কেরল, জেএনইউ-এর পর কলকাতার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় এবার উদ্যোগ নিল ‘ইন্ডিয়া:  দ্য মোদি কোয়শ্চেন’ দেখানোর। বিবিসি-এই তথ্যচিত্র প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখানোর আয়োজন করা হয়েছে স্টুডেন্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে। । এখানে বলে রাখা শ্রেয়, ‘ইন্ডিয়া : দ্য মোদি কোয়শ্চেন’ পশ্চিমবঙ্গে এই প্রথম দেখানো হবে। আর তা দেখানো হবে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ব্যাডমিন্টন কোর্টে আগামী ২৭ জানুয়ারি।, বিকেল চারটের সময়। এমনটাই জানানো হয়েছে এসএফআইয়ের তরফ থেকে। এদিকে দেশ জুড়ে বিবিসি-র বিতর্কিত তথ্যচিত্র নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে। গত রবিবার তথ্য প্রযুক্তি আইনের আওতায় ভারতের ইন্টারনেট পরিষেবা থেকে ওই তথ্যচিত্রের সমস্ত লিঙ্ক মুছে দেওয়া হয়। এমনকী সংশ্লিষ্ট লিঙ্ক শেয়ার করাও বেআইনি বলেও সরকারি নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়। বিবিসি-র বিতর্কিত তথ্যচিত্র সহ আইটি রুলস ২০২১  সালের জরুরি ক্ষমতা প্রয়োগ করে ৫০টির মতো ট্যুইট তুলে নেওয়ার জন্যও কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রক নির্দেশ দেয়। এই ঘটনায় বিরোধী দলের নেতারা ‘সেন্সরশিপ’ বলেও আখ্যা দেন। এমনই এক প্রেক্ষিতে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তথ্যচিত্রটি দেখানোর উদ্যোগ নিয়েছে বামেদের ছাত্র সংগঠন। যদিও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে তরফে এবিষয়ে অনুমতি দেওয়া হয়নি। সেক্ষেত্রে প্রেসিডেন্সিতে জেএনইউ-এর ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলেও তার মোকাবিলা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে প্রেসিডেন্সির এসএফআই সংগঠন।

একইসঙ্গে এসএফআই-এর তরফ থেকে এও জানানো হয়, বিতর্কিত এই তথ্যচিত্র দেখানো নিয়ে এসএফআই-এর তরফে প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষকে বেশ কয়েকদিন আগেই মেল করা হয়েছিল।তবে সেই মেলের কোনও সদুত্তর মেলেনি। এরপই এসএফআই-এর তরফ থেকে জানানো হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনও কিছু না জানালেও আমরা আমাদের কর্মসূচিতে অনড়।এদিকে আবার এও কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে,  আগামী ২৭ জানুয়ারি সরস্বতী পুজোর সরকারি ছুটি ঘোষণা হতে পারে। সেক্ষেত্রেও ওই দিন ছুটি থাকলে আগামী কাজের দিনে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই নিশ্চিতভাবে তথ্যচিত্রটি দেখানো হবে।

এদিকে সূত্রে খবর, কেরলের পর মঙ্গলবার রাত ৯টায় বিবিসির এইতথ্যচিত্র দেখানোকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটি। তথ্যচিত্রটি দেখানোর ঠিক আগেই জেএনইউ চত্বরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া থেকে শুরু করে ছাত্রছাত্রীদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া সহ একাধিক অভিযোগ ওঠে।  সূত্রে এ খবরও মিলেছে,মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তবে হাল ছাড়তে রাজি হননি জেএনইউ-এর এসএফআইয়ের পড়ুয়ারা। একদল পড়ুয়া মোবাইলে ও ল্যাপটপে তথ্যচিত্র চালানোর চেষ্টা করে। ফলে সবমিলিয়ে তথ্যচিত্র দেখানো নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয় জেএনইউ-এ। এরপরই কলকাতায় এই তথ্যচিত্র প্রদর্শনের কথা সামনে আসে। শুরু হয়, চাপান উতোর। তবে এমন এক বিতর্কিত পরিস্থিতিতে কলকাতাতেও নতুন করে কোনও সমস্যা তৈরি হয় কিনা এখন সেটাই দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − five =