কলকাতা: দেগঙ্গা, ইংরেজবাজার, বাঁশদ্রোনি, মাটিয়া, হাঁসখালি, বোলপুর। রাজ্যে ক্রমশই ধর্ষণের অভি়যোগ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে খোদ কলকাতায় নাবালিকাকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, নাবালিকাকে ভয় দেখিয়ে এই কাজ করা হয়। এরপর মুখ বন্ধ রাখতে বলে তাকে হুমকিও দেওয়া হয়। ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে নাবালিকারই এক পরিচিতকে।
পুলিশের সূত্রে খবর, আট বছরের মেয়েটি অভিযুক্তকে আগে থেকে চিনত। তারই সুযোগ নিয়ে যৌন হেনস্তা করা হয়েছে। গত ১৫ দিন ধরে ঘরের মধ্যে ডেকে নিয়ে বেশ কয়েকবার যৌন নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ। ক্রমাগত এই অত্যাচারে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে নাবালিকা। শরীরও দুর্বল হয়ে গিয়েছিল। আর সহ্য করতে না পেলরে শেষমেশ বাড়িতে সব ঘটনা জানায় সে।
এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হয় নাবালিকার পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই প্রমোদ পাশোয়ান নামে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, একবালপুর এলাকায় ঘটেছে ওই ঘটনাটি। ওই নাবালিকার বাড়ির কাছেই থাকত অভিযুক্ত। সম্প্রতি নাবালিকা সারাক্ষণ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে থাকত। অসুস্থও বোধ করে সে। এতে সন্দেহ হয় তার মায়ের। তিনি মেয়েকে জিজ্ঞাসা করেন কী হয়েছে তার। মায়ের প্রশ্ন শুনেই কান্নায় ভেঙে পড়ে নাবালিকা। জানায়, গত দু’সপ্তাহ ধরে নিজের ফাঁকা বাড়িতে তাকে ডেকে নিয়ে যাচ্ছে ওই অভিযুক্ত। শুধু তাই নয়, নাবালিকাকে হুমকি দিয়ে বলা হয়, কাউকে বিষয়টি জানালে তাকে খুন করে ফেলা হবে। তাই ভয়ে সে কাউকে কিছু জানাতে পারেনি। হাসপাতালে নাবালিকার মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আইনে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আলিপুর আদালতে তোলা হলে তাঁকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, শুক্রবারই নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের একটি মামলার শুনানিতে হাইেকার্ট বলেছিল, যৌন অভিপ্রায় নিয়ে কোনও শিশুর যোনি, লিঙ্গ, নিতম্ব, বুক স্পর্শ করলে বা তাকে দিয়ে স্পর্শ করালে তা যৌন হেনস্থা বলেই বিবেচিত হবে। পকসো আইনের ৭ নম্বর ধারা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এমনটাই জানিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।