কলকাতা: রাস্তা থেকে ঘরে নিয়ে গিয়ে ভয় দেখিয়ে গুজরাতের এক ব্যবসায়ী টাকা লুঠের অভিযোগ উঠল চার যৌনকর্মীর বিরুদ্ধে।ঘটনাটি ঘটেছে খাস কলকাতায়। অভিযোগ ব্যবসায়ীকে ছুরি দেখিয়ে নগদ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনলাইনেও তুলে নেওয়া হয় টাকা। মোট ৮০ হাজার টাকা লুঠের অভিযোগ ‘মহিলা গ্যাং’-এর বিরুদ্ধে। উত্তর কলকাতার বড়তলা থানার হাতে গ্রেপ্তার হল ৪ যৌনকর্মী। দিনদুপুরে যেভাবে নগদ ও অনলাইনে এই লুঠপাটের ঘটনা ঘটেছে, তাতে হতবাক পুলিশ আধিকারিকরাও।পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ৪ মহিলার নাম ঝুমা দাস, শ্রুতি মুখোপাধ্যায়, নমিতা দাস ও রাখি দাস।
ঘটনাটি দুদিন আগে ঘটলেও তা প্রকাশ্যে এসেছে পড়ে। জানা গিয়েছে কিছুদিন আগে ব্যবসার কাজে কলকাতায় এসেছিলেন ওই ব্যবাসায়ী। পুলিশের অনুমান, যুবক যৌনপল্লিতে এসেছিলেন। তাঁকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে কয়েকজন মহিলা ডাকতে থাকে। তিনি ইতস্তত বোধ করলে প্রায় জোর করেই তাঁকে একটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। ৪ জন মহিলা দরজা লক করে দেয়। পুলিশের ভয় দেখিয়ে তারা ১৫ হাজার টাকা লুঠ করে। তাঁর কাছ থেকে আরও টাকা চায় তারা।যুবকের অভিযোগ, মোবাইল কেড়ে নিয়ে অনলাইনে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে বলা হয়। তিনি গররাজি হলে তাঁকে ছুরি দিয়ে ভয় দেখানো হয়। যুবকের দাবি, তিনি বাধ্য হয়েই রাজি হন। তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ওই ‘মহিলা গ্যাং’ অনলাইনে ৬৫ হাজার টাকা তুলে নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নিয়ে নেয়। লুঠপাটের পর তাঁকে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়। এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে ওই ব্যবসায়ী এরপর বড়তলা থানায় আসেন।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ ওই যুবককে নিয়ে ইমাম বক্স লেনে যায়। এলাকার বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঝুমা, শ্রুতি, রাখি ও নমিতাকে শনাক্ত করা হয়। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে তাদের ৫ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
পুলিশের এক আধিকারিক জানান, বড়তলার যৌনপল্লি এলাকায় এর আগেও লুঠপাটের ঘটনা ঘটেছে। এবার যেভাবে ‘মহিলা গ্যাং’ এই লুঠপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে, তাতে বিষয়টির উপর পুলিশ গুরুত্ব দিচ্ছে।