নিউ আলিপুরের ফ্ল্যাটে ধরা পড়ল মধুচক্র। এদিকে লালবাজার সূত্রে খবর, বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে খদ্দের সেজে সেই ফ্ল্যাটে যান লালবাজারের আধিকারিকেরা। এরপর চালানো হয় তল্লাশি। আর তখনই হাতেনাতে ধরা পড়ে মধুচক্রের সঙ্গে জড়িত দুই মহিলা। এঁরা ম্যানেজারের কাজ করতেন বলেও জানা গেছে পুলিশ সূত্রে। একইসঙ্গে উদ্ধার করা হয় এক তরুণীকেও।
লালবাজার সূত্রে আরও খবর, দক্ষিণ কলকাতার নিউ আলিপুরের সাহাপুর কলোনিতে ঘটে এই ঘটনাটি। সেখানেই একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেয় অভিযুক্ত অনিতা যাদব। সঙ্গে নেয় সিয়ানা খান নামে একবালপুরের ময়ূরভঞ্জ রোডের বাসিন্দা অন্য এক যুবতীকেও। দু’জন মিলেই শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে তরুণীদের কাজের লোভ দেখিয়ে নিয়ে আসে ওই মধুচক্রের আসরে। সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্যান্যভাবে বিজ্ঞাপন দেওয়া হত। কখনও ম্যাসেজ, আবার কখনও বা বন্ধুত্বের টোপ দিয়ে নিয়ে আসা হত ওই ফ্ল্যাটে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশ ওই ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায়। সেই সময়ও কাজের লোভ দেখিয়ে আনা হয় এক তরুণীকে। তল্লাশি চলাকালীন ফ্ল্যাটেই ছিলেন ওই তরুণী। সেখান থেকেই দুই মহিলা ম্যানেজারকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি ওই তরুণীকে উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধার করে ওই তরুণীকে। সঙ্গে ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় কিছু আপত্তিকর বস্তু ও চার হাজার টাকা। ধৃতদের জেরা করে এই চক্রের অন্যদের সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে লালবাজার সূত্রে।