বৃহস্পতিবার সিবিআই আদালতে জামিনের আর্জি খারিজ হল অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষাী সায়গল হোসেনেরও। এদিন ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি ফের আদালতে পেশ করা হবে তাঁকে।আদালত সূত্রে খবর, এদিন ভার্চুয়ালি হাজিরা দেন অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। গরু পাচার মামলায় বর্তমানে দিল্লিতে তিহার জেলে বন্দি তিনি। গরু পাচার মামলায় সায়গলকে সিবিআই প্রথমে গ্রেপ্তার করে। পরে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের মামলায় তাঁর ঠাঁই হয় দিল্লিতে তিহার জেলে। বৃহস্পতিবার তাঁর আইনজীবী জামিনের আর্জি জানালেও চিঁড়ে ভেজেনি। এদিকে আবাহর এদিন তিহার জেলে গিয়ে সায়গলকে জেরা করার আর্জি জানায় সিবিআই। আদালত সেই আর্জি মঞ্জুর করে।
আদালত সূত্রে খবর, সায়গলের আইনজীবী এদিন জামিনের আর্জি জানাতে গিয়ে আদালতের কাছে অনুরোধ করেন, এতদিন মামলায় প্রভাব খাটাতে পারেন বা প্রমাণ লোপাট করতে পারেন, এই যুক্তিতে জামিন দেওয়া হয়নি সায়গলকে। এদিকে আপাতত তিনি ইডির মামলায় জেলবন্দি রয়েছেন। সেই কারণে এখন প্রভাব খাটানো বা প্রমাণ লোপাট করা সম্ভব নয়। এদিকে এদিন সিবিআই-এর তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, সম্প্রতি বীরভূমে যে ২০০ টি বেনামি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে তার সঙ্গেও সায়গলের যোগ থাকতে পারে। ওই সব অ্যাকাউন্টের যে একজনের সই আছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর, তাঁর বয়ান ইতিমধ্যেই রেকর্ড করা হয়েছে। সেখান থেকেই সায়গলের নাম সামনে এসেছে বলে দাবি করা হয় সিবিআইয়ের তরফ থেকে।
প্রসঙ্গত, এই মামলায় মূল অভিযুক্ত এনামুল হক গ্রেফতার হওয়ার পরই সায়গলের নাম সামনে আসে।একজন কনস্টেবল হিসেবে তাঁর বিপুল সম্পত্তি কীভাবে হল, তা নিয়ে প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিল গোয়েন্দাদের।সিবিআই সূত্রে খবর, সায়গলের বেশ কিছু অ্যাকাউন্টও ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।