মহাকরণের সংস্কার কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে সচিব পর্যায়ের বৈঠক

রাজ্যের পুরনো সচিবালয় মহাকরণের সংস্কার কাজে গতি আনতে তৎপর হল রাজ্য সরকার। সংস্কারের উদ্দ্যেশ্যে ২০১৩ সালের ৫ই অক্টোবর রাজ্যের সচিবালয় মহাকরণ থেকে নবান্নে স্থানান্তর করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তার পর গোটা এক দশক ধরে একাধিক বিশেষজ্ঞ সংস্থার করা পরিকল্পনা মাফিক হেরিটেজ ভবনের বিভিন্ন অংশের সংস্কার চলেছে ধাপে ধাপে। এবার সেইz কাজের পর্যালোচনা করতে মহাকরণ সংস্কারের জন্য গঠিত উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটির চেয়ারম্যান তথা মুখ্য সচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা বৈঠকে বসেন। মহাকরণে স্বরাষ্ট্র এবং পূর্ত দপ্তরের সচিব ছাড়াও অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন। বৈঠক নিয়ে সরকারিভাবে কিছু না জানানো হলেও বিভিন্ন ব্লকের কাজের অগ্রগতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে সংস্কারের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, মহাকরণের সামনের যে ঐতিহাসিক ভবন তথা মূল বিল্ডিং তার কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। ভিতরের ব্লক-ওয়ান, ব্লক-টুর কাজও প্রায় শেষ। মন্ত্রী, আমলাদের কেবিনের অন্দরসাজ থেকে শুরু করে মূল বিল্ডিংয়ের সিঁড়ি, কর্মীদের বসার চেয়ার, টেবিল ইত্যাদিতেও বদল এখন দেখা যাচ্ছে। সরকারি ভাবে স্বাধীনতা পূর্ব সময়ে মহাকরণে মূল ভবন ছাড়া তার সঙ্গে সংলগ্ন পাঁচটি ভবন ছিল। পরে তৈরি হয় অতিরিক্ত ব্লক এ, বি, সি, সিজিএইচ, এবং ডি, ই, এফ, জি। এই যে অতিরিক্ত ব্লক তৈরি করা হয়েছিল। তার মধ্যে চারটি ইতিমধ্যে ভেঙে ফেলা হয়েছে। রাইটার্স বিল্ডিংস হল হেরিটেজ ভবন। তাই স্বাধীনতার আগে মহাকরণের যে কাঠামো ছিল তা ধীরে ধীরে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। এদিনের বৈঠকের পর নবান্ন সূত্রে বলা হচ্ছে, রাইটার্সের মূল বিল্ডিংয়ের ২০ শতাংশের বেশি কাজ হয়ে গিয়েছে। বাকি যা কাজ রয়েছে, তা শেষ করা হবে। মূলত অতিরিক্ত আটটি ব্লকের মধ্যে চারটি ব্লক ইতিমধ্যেই পুরো ভেঙে ফেলা হয়েছে। বাকি আরও চারটি অতিরিক্ত ব্লক ভেঙে ফেলার পরিকল্পনা রয়েছে বলে খবর। সব মিলিয়ে পুরনো চেহারা দিতেই অনেকটা সময় লাগছে। মূল ভবনের পুরোটাই হেরিটেজ। তাই সেখানে রূপটান ছাড়া কোনও পরিবর্তন হচ্ছেনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three + 2 =