নয়াদিল্লি : ভারতের কৃষি ঐতিহ্যে বিজ্ঞান ও যুক্তিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। জোর দিয়ে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার ৩২-তম ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ এগ্রিকালচারাল ইকোনমিস্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, “খাদ্য ও কৃষি সম্পর্কে আমাদের ঐতিহ্য এবং অভিজ্ঞতা আমাদের দেশের মতোই প্রাচীন। ভারতের কৃষি ঐতিহ্যে বিজ্ঞান ও যুক্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। আমাদের কাছে ঔষধি প্রভাব-সহ খাদ্য গ্রহণের আয়ুর্বেদিক বিজ্ঞান রয়েছে… প্রায় ২০০০ বছর আগে ‘কৃষি পরাশর’ নামে একটি গ্রন্থ লেখা হয়েছিল, এটি মানব ইতিহাসের ঐতিহ্য।”
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, “৬৫ বছর পর ভারতে এই ধরনের সম্মেলন আয়োজন করা হচ্ছে এ জন্য আমি খুশি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আপনারা সবাই এখানে এসেছেন। আমি আপনাদের স্বাগত জানাই – ভারতের ১২০ মিলিয়ন কৃষক, ভারতের ৩০ মিলিয়নেরও বেশি মহিলা কৃষক, দেশের ৩০ মিলিয়ন মৎস্যজীবী.. এখন আপনারা এমন একটি দেশে আছেন যেখানে ৫৫০ মিলিয়ন প্রাণী বাস করে। কৃষিপ্রধান এবং পশুপ্রেমী এই দেশে আপনাদের সকলকে স্বাগত।”
প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেছেন, “ভারতে এখনও আমরা ৬টি ঋতুর কথা মাথায় রেখে পরিকল্পনা করি। আমাদের ১৫টি কৃষি জলবায়ু অঞ্চল রয়েছে – সকলের নিজস্ব বিশেষত্ব রয়েছে। আপনি যদি এখানে প্রায় ১০০ কিলোমিটার ভ্রমণ করেন, তাহলে কৃষি চর্চা বদলে যায়।
এই বৈচিত্র্য ভারতকে বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য একটি আশার রশ্মি করে তোলে… এখন ভারত একটি খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশ যা দুধ, মশলা এবং মসুর ডালের বৃহত্তম উৎপাদক… একটি সময়ে ভারতের খাদ্য নিরাপত্তা ছিল বৈশ্বিক উদ্বেগ, এখন ভারত বিশ্বব্যাপী খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার সমাধান খুঁজছে।”