বড়দিনের ভিড়ে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে আহত ৬ ছাত্রী

বড়দিন-নিউ ইয়ারের অনেকেই ভিড় জমান পুরীতেও। ফলে বহু ভক্ত সমাগম হয় এই সময়। ফলে অন্যান্য বারের মতো এবারেও বড়দিনে ভিড় অন্যান্য দিনের তুলনায় স্বাভাবিকভাবেই একটু বেশি ছিল। আর তাতেই বড়দিনের পরের দিন তৈরি হয় ভিড়ে পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি। ঘটনায় আহত হন ছয় স্কুল ছাত্রী। ভুবনেশ্বর পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনাটি ঘটে সোমবার সন্ধ্যায়। ময়ূরভঞ্জের একটি হাইস্কুলের প্রায় ৭০ জন ছাত্র-ছাত্রী বড়দিনে পুরী বেড়াতে যান। সারাদিন প্রায় সমুদ্র সৈতকে থাকার পর সন্ধ্যার সময় তাঁরা পুরীর জগন্নাথ মন্দির দর্শনেও যান। রাত আটটা নাগাদ ২২ ধাপ সিঁড়ি চড়ার সময় ভিড়ে বেসামাল হয়ে পড়ে যান ছয় জন ছাত্রী। ওই সময় জগন্নাথ মন্দিরে বহু ভক্ত সমাগম হয়েছিল। জানা গিয়েছে, আহত ছাত্রীরা নবম এবং দশম শ্রেণির পড়ুয়া। দ্রুত তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আপাতত তাঁরা সুস্থ রয়েছেন। জানা গিয়েছে, সিঁড়ি দিয়ে উঠতে যাওয়ার সময় ওই ছাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ে যান। এরপর ভিড়ের মধ্যে তাঁরা পদপিষ্ট হ। তবে তাঁরা কেউ গুরুতর আহত হননি এবং তাঁদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, বলেই জানানো হয়েছে হাসপাতালের তরফ থেকে। এদিকে বড়দিন এবং নববর্ষ উপলক্ষে মন্দিরের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও আঁটসাঁট করা হয়েছে।

এখানে একটা কথা বলে রাখা শ্রেয়। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ভেতরে ছবি তোলা নিষিদ্ধ। এরপরও সোশাল মিডিয়ায় মন্দিরের ভেতরের ছবি ভাইরাল হওয়া নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগ বাড়ে মন্দির কর্তৃপক্ষের। এরপরেই সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার জন্য পুলিশ কর্মীদের স্মার্টফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। নিষেধাজ্ঞায় জানানো হয়, শ্রী জগন্নাথ টেম্পল অ্যাক্ট’ মোতাবেক মন্দিরের ভেতরে ছবি তোলা, ক্যামেরা নিয়ে যাওয়া বা ফোন ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বাইরে এই মর্মে লাগানো আছে ব্যানারও। কেউ এই নিয়ম মেনে না চললে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight + four =