বিজেপি কর্মী বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইঞার খুনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন জাতীয় এসসি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার। ঘটনার তদন্তে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ‘পুলিশের নেতৃত্বে মার্ডার।’ এদিকে বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইঞার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কেটে গিয়েছে আড়াই দিন। তবুও এখনও উত্তপ্ত পরিস্থিতি। মৃতের পরিবার থেকে শুরু করে বিজেপি কর্মী সকলেই অভিযোগ তুলছে ময়না থানার পুলিশ ঘটনায় অভিযুক্তদের আড়ালের চেষ্টা করছে।
অরুণ হালদার ঘটনাস্থলে আসার পর থেকেই এদিন বারবার প্রশ্ন তোলেন, কেন এই কেসের তদন্তে এসপি বা ডিএম ঘটনাস্থলে আসেননি? একইসঙ্গে ময়নার ওসিকে রীতিমতো ভর্ৎসনার সুরে বলেন, ‘আপনার এসপি-কে স্পটে থাকতে বলেছিলাম। উনি কেন এলেন না? আমি দিল্লি থেকে চলে এলাম আর উনি এলেন না? এই রকম একটা খুনে এসপি বা ডিএম কেন এলেন না?’
এরপরই সাংবাদিকদের সামনে ক্ষুব্ধ অরুণ হালদারকে বলতে শোনা যায়, ‘ওনাদের সঙ্গে কথা বলার পর এটা পরিষ্কার পুলিশের নেতৃত্বে খুন। খবরের হেডলাইন করুন এটা পুলিশের নেতৃত্বে মার্ডার।‘ একইসঙ্গে ভাইস চেয়ারপার্সন অরুণ হালদার বলেন, ‘ছোট ঘটনা হলেও ভারতের কমিশন গেলে উচ্চ-পদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত থাকেন ঘটনাস্থলে। জাতীয় এসসি কমিশন দিল্লি থেকে এখানে পৌঁছে গেল আর এসপি এলেন না? অনেক রাজ্যে আমি ডিজিকে নিয়ে গিয়েছি। সেখানে এসপি না এসে থানার আইসিকে পাঠালেন। আমায় অপমান করা হল। আমি দেখব গোটা বিষয়টা।’ অরুণ হালদার দাবি করেন, অনেক তথ্য লুকাচ্ছে পুলিশ। আমি কেন স্পটে এলাম? অনেক তথ্য-প্রমাণ থাকে স্পটে অথচ এসপি-ডিএম অনুপস্থিত।’
প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় বিজেপি কর্মীকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত হয় বাকচা এলাকা। বিজেপি সূত্রে খবর, নিহতের নাম বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইঞা। এই ঘটনায় শাসকদলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি। খবর সামনে আসার পরই মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিজেপি নেতা তথা বিধান সভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তেরও দাবি জানান তিনি। ইতিমধ্যেই বিজেপি কর্মী খুনের তদন্তে নেমেছে ময়না থানার পুলিশ। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে একজনকে। এরপর বৃহস্পতিবার এলাকায় পৌঁছায় এসসি কমিশন।