ঐতিহাসিক জয় কালনার জলকন্যা ও সাঁতারু সায়নী দাসের। ভারতের মধ্যে প্রথম মহিলা সাঁতারু হিসাবে মার্কিন মুলুকের মলোকাই চ্যানেল জয় করলেন তিনি। আরও একটি নতুন রেকর্ড গড়ে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিলেন কালনা শহরের বারুইপাড়ার মেয়ে।
মলোকাই চ্যানেল জয়ের লক্ষ্যে ২৯ শে মার্চ মার্কিন মুলুকে পা রেখেছিলেন কালনার সাঁতারু সায়নী দাস। এপ্রিল মাসের প্রথম দু’সপ্তাহের মধ্যে মলোকাইয়ের জলে নামার কথা থাকলেও খারাপ আবহাওয়ার কারণে নামতে পারেননি তিনি। এই বিষয়ে সায়নীর কোচ তথা বাবা রাধেশ্যাম দাস জানিয়েছেন, সেই সময় হাওয়ার গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ৩৫-৪৫ কিমি রয়েছে। যা মলোকাইয়ের জলে নামার ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতি ঘণ্টায় ২০-২৮ কিমির মধ্যে হলে জলে নামাটা সম্ভব হবে। এছাড়াও ঢেউ ছিল দু’মিটারের উপরে। রয়েছে কারেন্টও। যা অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশী। তাই সায়নীর পাইলট জানিয়েছিলেন ভাল আবহাওয়ার জন্য একটু অপেক্ষা করতে হবে। সেই সময়ই জানানো হয়েছিল ২৬-২৮ শে এপ্রিল আবহাওয়া ভাল হলে জলে নামতে পারেন সায়নী। সেই মতোই জলে নামেন সায়নী।
এর আগে ২০১৭ সালে ইংলিশ চ্যানেলে নামার আগে সায়নী এই ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন। এ বারও ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। যদিও কোনওভাবেই হার মানতে নারাজ ইংলিশ, রটনেষ্ট ও ক্যাটলিনা চ্যানেল জয়ী সায়নী। আমেরিকার হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে টানা বাইশ দিন থাকাকালীন অবস্থায় অনুশীলনে খামতি রাখেননি তিনি। মলোকাই চ্যানেল সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট বিল গোডিং সায়নীকে দায়িত্ব নিয়ে যেমন অনুশীলন করিয়েছেন তেমনই প্রতিটিক্ষণে আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতির উপর নজর রেখেছেন তাঁর পাইলট ম্যাথিউ বাকম্যান, জানান সায়নী। আবহাওয়ার প্রতিকূলতায় মলোকাইয়ে নামার সময়টা দীর্ঘ হলেও সায়নীর মলোকাই জয় করবেনই, বিশ্বাসী ছিল কোটি কোটি ভারতবাসী।