সৈয়দ হাওড়া পুরসভার ঠিকাদার, জানালেন ধৃতের আইনজীবীই

সৈয়দ আর সাদ্দামকে নিয়ে এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে এল বৃহস্পতিবার। আর তা জানালেন ধৃত মহম্মদ সৈয়দের আইনজীবী স্বয়ং। বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের  আদালতে তোলা হয় সৈয়দ ও সাদ্দামকে। সেখানে সৈয়দের ধৃত মহম্মদ সৈয়দের আইনজীবী শঙ্কর মুখোপাধ্যায় তাঁর মক্কেলের সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, হাওড়া পুরসভায় ঠিকাদার হিসাবে কাজ করতেন মহম্মদ সৈয়দ। নেহা কনস্ট্রাকশন নামে একটি সংস্থাও খুলেছিলেন তিনি। সেই সংস্থা হাওড়া পুরসভার মাধ্যমে এলাকায় বিভিন্ন কাজ করত। একইসঙ্গে সৈয়দের আইনজীবী এও দাবি করেন, তাঁর মক্কেল হাওড়া পুরসভায় ঠিকাদার হিসাবে কাজ করেছেন। রাস্তা নির্মাণ, নিকাশি-সহ একাধিক কাজ করেছে বলেও দাবি করেন তিনি। এদিন আদালতে তাাঁর মক্কেলের স্বপক্ষে সৈয়দের বিভিন্ন নথিও পেশ করেন তাঁর আইনজীবী। চলতি মাসের শুরুতেই জঙ্গি সন্দেহে হাওড়ার দুই যুবক সৈয়দ ও সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করে এসটিএফ। মহম্মদ সাদ্দাম ও সইদ আহমেদ নামে ওই যুবককে জেরা করে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে।

এদিকে হাওড়া পুরসভার সঙ্গে জঙ্গি সন্দেহে ধৃত যুবকের যোগের তথ্য় সামনে আসার পর থেকে একের পর এক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, আদালতে বলা হয়েছে বহুদিন ধরেই নেহা কনস্ট্রাকশন কাজ করছে হাওড়া পুরসভায়। সূত্রের খবর, শুধু এই সংস্থা কাজই করেনি, এই সংস্থায় একাধিক ঠিকাকর্মীও কাজ করতেন। অর্থাৎ সৈয়দ তাঁর সংস্থা তৈরি করে সেখানে লোক নিয়োগ করেছে। তাঁরা পুরসভার বিভিন্ন কাজও করেছেন। অর্থাৎ এখানে আর্থিক লেনদেনের একটা প্রশ্নও যে থাকছেই তাও ধারনা করছেন অনেকেই। এর পাশাপাশি এ প্রশ্নও উঠছে, হাওড়া পুরসভা কিছুই কি জানতে পারেনি এই সৈয়দ বা নেহা কনস্ট্রাকশনের ব্যাপারে। আর এর থেকে এও স্পষ্ট হল, ঠিকাদার নিয়োগের সময় তথ্য যাচাইয়ের ক্ষেত্রেও কোনও ধরনের কড়াকড়ি নেই হাওড়া পুরসভায়। এদিকে কলকাতা এসটিএফের আইনজীবী অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় এদিন মহম্মদ সাদ্দাম ও সইদ আহমেদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারা যুক্ত করার আবেদন জানান আদালতে। এই ধারা যুক্ত হওয়া মানে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের করা। এই ধারা যুক্ত হবে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে সৈয়দের আইনজীবী এদিন এজলাসে যা দাবি করেন তা অবাক করার মতোই।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × five =