সাকেতের গ্রেপ্তারি নিয়ে সরব সৌগত, মুলতুবি অধিবেশন

নয়া দিল্লি: প্রথম দিন অধিবেশন শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মুলতুবি হয়ে গেল লোকসভা। যদিও এদিন অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ সচল রাখার জন্য সমস্ত দলের সাংসদদের আবেদন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নতুন সাংসদদের বিতর্কে সুযোগ দেওয়ার আর্জি জানিয়ে তিনি বার্তা দেন, ‘সংসদ বিশৃঙ্খল হতে দেখলে নতুন সাংসদরা ব্যথিত হন। সমস্ত দলের নেতা ও সংসদের সকল সদস্যের কাছে আবেদন, যাঁরা প্রথমবার সংসদে এসেছেন, যাঁরা নতুন সাংসদ, তাঁদের বিতর্কে যোগ দেওয়ার সুযোগ দিন। তাঁদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও গণতন্ত্রের জন্য আমরা সকলে মিলে আলোচনা করব।’ অধিবেশন স্থগিত হলে সংসদের ক্ষতি হয় বলেও জানান তিনি। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রীর সেই বার্তার পরেও শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতেই তৃণমূলের তরফ থেকে আনা হয় মুলতুবি প্রস্তাব। তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখেলের গ্রেপ্তারি নিয়ে বুধবার শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতেই সংসদে মুলতুবি প্রস্তাবের নোটিশ দেন তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়। যদিও সেই নোটিশের পরেও অধিবেশন চলছিল। কিন্তু, দফায়-দফায় বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয় তৃণমূল থেকে কংগ্রেস। যার জেরে দফায়-দফায় অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়। বিরোধীদের হই-হট্টগোলের জেরে ১১টা লোকসভার অধিবেশন শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই মুলতুবি হয়ে যায়। তারপর আবার ১২টায় অধিবেশন শুরু হলেও ১টা নাগাদ ফের দুপুর ২টো পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়।

এদিকে সাকেত গোখেলের গ্রেপ্তারির ঘটনা ‘খারাপ এবং দুঃখজনক’ বলে মঙ্গলবারই প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন, “টিএমসির জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে আটক করা অত্যন্ত খারাপ, প্রতিহিংসামূলক মনোভাবের পরিচয়।” সাকেত গোখলের এই গ্রেপ্তারির প্রভাব যে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে পড়বে, তার আঁচ মেলে তৃণমূল সুপ্রমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পরই। এরপর বুধবার অধিবেশনের শুরুতেই তার প্রতিফলন মেলে। প্রসঙ্গত, গত অক্টোবরে গুজরাতের  মোরবি সেতু ভেঙে মৃত্যু হয় ১৩৬ জনের। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেই বিষয়ে কটাক্ষ করে একটি ট্যইটও করেন সাকেত। এরপরই এই ট্যুইটের জন্যই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বলেই সূত্রে খবর।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 − 3 =