লালনের স্ত্রীয়ের সঙ্গে দেখা করলেন সাংসদ শতাব্দী

লালন শেখের পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে গেলেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। রবিবারই লালন শেখের বাড়িতে যান তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। লালন শেখের স্ত্রীর পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ নিয়ে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলারও আশ্বাস দেন তিনি। এদিকে বগটুই কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের সিবিআই হেফাজতে কী ভাবে মৃত্যু হল, তা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূলের তরফ থেকে ঘটনার তদন্তেরও দাবি জানানো হয়।

সূত্রে খবর, এদিন সকালে সিআইডি-র এক প্রতিনিধি দল যখন বগটুই গ্রামে যায় এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন গোয়েন্দা আধিকারিকেরা, তখনই লালন শেখের বাড়িতে যান তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। তিনি বেশ কিছুক্ষণ লালন শেখের বাড়িতে থাকেন এবং তাঁর স্ত্রী রেশমা বিবির সঙ্গে কথা বলেন। এরপর লালন শেখের বাড়ি থেকে বেরিয়ে সাংসদ জানান, ‘লালন শেখের পরিবারের লোকজন যা অভিযোগ করছেন তা মারাত্মক। যেভাবে তাঁরা বলছেন যে তাঁর স্বামীকে এবং তাঁকেও মারধর করা হয়েছে তা অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। আমি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসারদের সঙ্গে কথা বলব।’ তিনি

শতাব্দী রায়ের সঙ্গে দেখা করার পর লালন শেখের স্ত্রী রেশমা বিবি জানান, ‘দিদি আমাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। কথা বলেছেন। পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন।’ এদিন ফের সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর বাড়িতে চুরি হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন রেশমা বিবি। আর এই প্রসঙ্গেই লালনের স্ত্রী রেশমা বিবির প্রশ্ন, সিবিআই হেফাজতে যদি বাড়ি লক করা থাকে তাহলে চুরি হল কী করে তা নিয়েই। তাঁর বাড়ি থেকে সোনা, জিনিসপত্র এবং নগদ ৫০০০ টাকার মতো চুরি গিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। আরক এই সমস্ত ঘটনারই প্রেক্ষিতে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন বলেও জানান নিহত লালন শেখের স্ত্রী।

প্রসঙ্গত, রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে লালন শেখের বাড়িটি সিল করা হয় সিবিআইয়ের  তরফে। যেদিন এই  বাড়িটি সিবিআইয়ের তরফ থেকে খোলা হয় সেদিনই লালন শেখের স্ত্রী চুরির অভিযোগ করেন। এব্যাপারে রামপুরহাট থানায় তিনি অভিযোগও দায়ের করেন। যদিও অভিযোগপত্রে সিবিআইয়ের  নাম উল্লেখ করা হয়নি বলেই সূত্রে খবর।  তাই সিবিআই-এর বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ তা আইনত বলা যায় না।গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে রামপুরহাট থানার পুলিশ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − 14 =