‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সারাজীবন ত্যাগ করেছেন। বাংলার মানুষের জন্য তিনি ত্যাগ করেছেন। সেই মানুষটাকে অপমান করা হল। বিন্দুমাত্র লজ্জা থাকলে কৌস্তভের ক্ষমা চাওয়া উচিত।’ সাংবাদিক বৈঠক করে কার্যত কৌস্তভকে তুলোধনা করতে দেখা গেল রাজ্যের রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজাকে। কৌস্তভ শনিবার ব্যাঙ্কশাল কোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পই একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘দেশজুড়ে মহিলাদের ক্ষমতায়ন করেছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। যে রাজ্যে মায়েদের জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু রয়েছে, যেখানে মায়েদের মৃত্যুর হার কমেছে সেখানে এক মহিলাকে চরম অপমান করা হয়েছে।’ এখানেই শেষ নয়, এদিন ইউ টিউবার রোদ্দুর রায়ের সঙ্গে তিনি কৌস্তভ বাগচীর তুলনাও টানেন। আর এই প্রসঙ্গে এও বলেন, ‘আমরা মনে করি রোদ্দুর রায় এবং কৌস্তভ বাগচী তাঁরা সমান অপরাধী। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মা হিসেবে সম্মান করি। কিছুতেই তাঁর অপমান মেনে নেব না। তিনি যে দলের সমর্থক সেই দলের শীর্ষেও তো মহিলারা রয়েছেন।’ শুধু তাই নয়, এদিন মন্ত্রী শশী পাঁজা এও জানান, ‘২০১১ সালের আগের জমানা কি মনে করিয়ে দিতে হবে? জ্যোতি বসু সম্পর্কে যদি বিরোধীরা বা অন্য কেউ কিছু বললে বা বামপন্থী নেতাদের নামে কিছু বললে খালের কাছে দেহটা পড়ে থাকত। পরিবর্তনটা কী জানেন, বর্তমান অবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আপনি এই ধরনের অশ্রাব্য মন্তব্য করলেন, কিন্তু গণতন্ত্র যা বলে, আইন যা বলে, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই পরিবর্তনটা বুঝতে হবে।’
একইসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে এ প্রশ্নও তোলেন, ‘সনিয়া গান্ধি, প্রিয়াঙ্কা গান্ধি কি কৌস্তভ বাগচীর মন্তব্য সমর্থন করেন?’ অন্যদিকে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর মেয়ের মৃত্যু প্রসঙ্গেও এদিন ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন তিনি। শশী পাঁজা বলেন, ‘ওটা অস্বাভাবিক মৃত্যু ছিল। দিদি কারও নাম করে বলেননি। তিনি বলেছিলেন ওটা অস্বাভাবিক মৃত্যু ছিল।’
এরই পাশাপাশি কুণালের বক্তব্যকে তাঁর ব্যক্তিগত মতামত বলেই মন্তব্য করেছেন রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। এই নিয়ে দল কোনও মন্তব্য করবে না, স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি।