রনজি ট্রফি ফাইনাল: ‘ব্রাত্য’ সরফরাজ ফের ব্যাট হাতেই দিলেন জবাব

রনজি ট্রফি ফাইনালে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ৩৭৪ রান করল মুম্বই। অনবদ্য শতরান করলেন সরফরাজ খান। ১৩টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১৩৪ রানের ঝকঝকে ইনিংস উপহার দিলেন এই তরুণ ব্যাটসম্যান। তিনি ছাড়াও ওপেন করতে নেমে ৭৮ রান করেন যশস্বী জয়সওয়াল। অধিনায়ক পৃথ্বী শ করেন ৪৭। তবে চলতি রঞ্জিতে ৬ ম্যাচে ৯২৫ রান করে এক অনন্য নজির গড়লেন তিনি। এই রঞ্জিতে তাঁর ব্যাটিং গড় প্রায় ১৫০ যা এককথায় অনন্য এবং রঞ্জির ইতিহাসে অন্যতম সেরা কীর্তি হয়ে থেকে যাবে।  রঞ্জি ট্রফির শেষ ১৬টি ইনিংসে তিনি একটি ত্রিশতরান, ২টি দ্বিশতরান, ৩টি ১৫০ রানের বেশী, একটি শতরান ও চারটি অর্ধশতরান করেছেন। এইভাবে তিনি যদি চালাতে পারেন তাহলে ভারতীয় দলে ডাক পাওয়া সময়ের অপেক্ষা বলাই যায়।

সেমিফাইনালে বাংলার বিরুদ্ধে নজরকাড়া পারফরম্যান্স করেছিলেন কুমার কার্তিকেয় ও সারাংশ জৈন। কিন্তু মুম্বইয়ের সামনে সেভাবে দাগ কাটতে পারেননি তারা। ৪১ ওভার বল করে মাত্র একটি উইকেট পান কার্তিকেয় ও অপরদিকে সারাংশ পান ২টিপ্রথমদিকে যশস্বী ও পৃথ্বী দুরন্ত শুরু করেন। চিরাচরিত ভঙ্গিতে বোলারদের রীতিমতো শাসন করতে শুরু করেন পৃথ্বী। কিন্তু পৃথ্বী আউট হওয়ার পর আরমান জাফর ও সুভেদ পার্কার দ্রুত আউট হয়ে যান। এরপরই ব্যাট করতে নেমে ম্যাচের রাশ নিজের হাতে নিয়ে নেন সরফরাজ। রঞ্জি ফাইনালের মঞ্চকে বেছে নেন নির্বাচকদের উদ্দ্যেশ্যে বার্তা দেওয়ার জন্য। একসময় বয়স ভাঁড়ানোর অভিযোগে মুম্বই থেকে ব্রাত্য হয়ে চলে যান উত্তরপ্রদেশে। পরে দেখা যায় সেই অভিযোগ ভিত্তিহীন তখন তিনি আবার ফিরে আসেন মুম্বইতে। তারপর থেকেই যেন ব্যাট হাতে অন্য সরফরাজকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।

১২ বছর বয়সে হ্যারিস শিল্ডে ৪৩৯ রান করে ভেঙ্গেছিলেন সচিন তেন্ডুলকরের রেকর্ড। দু’বার খেলেছেন অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপেও। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট টানা রান করে চলেছেন। তবে তিনি জাতীয় দলে ডাক কেন পাচ্ছেন না তা সত্যিই আশ্চর্যের। তাঁর ওজন বেশী হওয়াটাই কি কারণ? কিন্তু তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন ওজন তাঁর রান করা আটকাতে পারছে না। সেমিফাইনালে উত্তরপ্রদেশকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে উঠেছেন সরফরাজরা। অপরদিকে বাংলাকে ১৭৪ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের মধ্যপ্রদেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

6 − two =