দেহাবসান সারদা মঠের অধ্যক্ষা আনন্দপ্রাণা মাতাজির, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদন কলকাতা: দেহাবসান হল সারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের অধ্যক্ষা আনন্দপ্রাণা মাতাজির। মঙ্গলবার সকালে ১০ টা নাগাদ দক্ষিণেশ্বরে সারদা মঠের সদর দপ্তরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। প্রব্রাজিকা আনন্দপ্রাণা মাতাজির প্রয়াণে শোকস্তব্ধ তাঁর অগণিত শিষ্যা, অনুগামীরা।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ থেকে প্রব্রাজিকা আনন্দপ্রাণার দেহ দক্ষিণেশ্বরে সারদা মঠের প্রধান কার্যালয়ে রাখার ব্যবস্থা হয়। সেখানেই ভক্তেরা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ভক্তদের শ্রদ্ধা জানানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাতে তাঁর শেষকৃত্য হবে বলে মঠেক তরফে জানানো হয়। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন তিনি।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব¨্যােপাধ্যায় মমতা ব¨্যােপাধ্যায় আনন্দপ্রাণা মাতাজির প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেন। শ্রদ্ধা জানিয়ে পোস্ট করেন এক্স হ্যান্ডলে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও শোকপ্রকাশ করেছেন। তিনি এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে প্রব্রাজিকা আনন্দপ্রাণার সমাজসেবামূলক কাজের কথা স্মরণ করেছেন তিনি।
সারদা মঠের পঞ্চম সভাপতি ছিলেন প্রব্রাজিকা আনন্দপ্রাণা মাতাজি। ১৯২৭ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই যোগাযোগ ছিল রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সঙ্গে। বেলুড় মঠের সপ্তম সভাপতি স্বামী শঙ্করানন্দের কাছ থেকে দীক্ষা গ্রহণ করেন। ১৯৫৭ সালে প্রব্রাজিকা আনন্দপ্রাণা বাগবাজার নিবেদিতা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। পরে সারদা মঠের সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। ২০২২ সালে এই মঠের চতুর্থ সভাপতি প্রব্রাজিকা ভক্তিপ্রাণার জীবনাবসানের পর, ২০২৩ সালের ১৪ জানুয়ারি ওই পদে বসেন আনন্দপ্রাণা মাতাজি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − seven =