খুন হওয়ার আশঙ্কা করছেন তৃণমূলের বিধায়ক শওকত মোল্লা। ভাঙড় বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক হওয়ার পর থেকে সার্চ লাইটের আলোয় ক্যানিং পূর্বের এই বিধায়ক। এবার এই খুন হওয়ার আশঙ্কার অভিযোগ তুলে এখন বঙ্গ রাজনৈতিক চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। শুধু তাই নয়, এই আশঙ্কা প্রকাশ করে শুক্রবার রাতেই কাশীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা।
এদিকে কাশীপুর থানা সূত্রে খবর, যে তিনজনের নামে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগে এও জানানো হয়েছে যে, শওকত মোল্লা ভাঙড় বিধানসভার পর্যবেক্ষক হওয়ার পর আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির উস্কানিতে কিছু সমাজবিরোধী তাঁকে হুমকি দিচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরালও হয় এমন একটি ভিডিও। যেখানে সরাসরি শওকত মোল্লাকে বস্তা বন্দি করে খালের ওপারে ফেলে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে যা নিয়ে আতঙ্কিত এবং আশঙ্কিত শওকত।
কাশীপুর থানায় লিখিত অভিযোগে তিনি এই ভাইরাল হওয়া ভিডিও-র কথাও উল্লেখ করেন বলে সূত্রে খবর। অভিযোগ তিনি নাকি জানান, ‘একটি ভিডিয়ো ফুটেজে দেখলাম কয়েকজন আইএসএফ কর্মী বলছেন, শওকত মোল্লা ভাঙড়ে এলে তাঁকে বস্তাবন্দি করে খালে ফেলে দেওয়া হবে। আমার মনে হয় আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির প্ররোচনাতেই প্রকাশ্যে এই ধরনের খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমি যে কোনও সময় এসব সমাজ বিরোধীদের হাতে খুন হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছি। পুলিশের কাছে আমার আবেদন এই ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় এনে যথোপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক।’
একইসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক শওকত আরও জানান, ‘ভাঙড়ে আমি পর্যবেক্ষক হয়ে আসার পর থেকেই আইএসএফ-এর সমাজ বিরোধীরা হতাশাগ্রস্ত। কারন বিগত দু’বছর ধরে এরা ভাঙড়ের তৃণমূল কর্মীদের ওপর অনেক অত্যাচার করেছে। এখন আর সেটা পারছে না। এরা চূড়ান্তভাবে একটা সাম্প্রদায়িক দল। পুলিশকে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’ যদিও এই ভিডিও ফুটেজের সঙ্গে আইএসএফ-এর কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির। এই প্রসঙ্গে নওশাদ এও জানান, ‘এগুলো আর কিছু না, প্রচার পাওয়ার সস্তা উপায়। আমরা হিংসার পথে যাইনা, সেটা তৃণমূল করে। আমরা রাজনৈতিক লড়াইয়েই বিশ্বাসী। আর উনি যা বলছেন, এমন কিছু হয়ে থাকলে পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিক।’