ইডি-র আতস কাঁচের তলায় শান্তনু জায়া প্রিয়াঙ্কাও

শান্তনুর সম্পত্তির কূল কিনারা পাচ্ছেন না ইডি-র আধিকারিকেরা। আর সেই কারণেই এবার ইডি-র আধিকারিকদের আতস কাঁচের তলায় শান্তনুর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এদিকে এই শান্তনুর নাম প্রথমবার সামনে আসে মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল মুখ খুলতে। পাশাপাশি এও জানা যাচ্ছে যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের বাবা বিদ্য়ুৎ বণ্টন নিগমের কর্মী ছিলেন। শান্তনুদের একটি মোবাইল ফোনের দোকান ছিল। চাকরি করতে করতেই বাবার মৃত্যু হয়েছিল। সেই চাকরিটাই পেয়েছিলেন শান্তনু। এদিকে, একটি ছাত্রভোটের সূত্র ধরে শান্তনু তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ হন। আর তারপর থেকেই তাঁর প্রভাব পতিপত্তি বাড়তে থাকে। মাত্র আট বছরে এই শান্তনুর সম্পত্তির পরিমাণ যেভাবে বেড়েছে, তা দেখে হতভম্ব তদন্তকারীরাও। নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি অবৈধ কারবারেও হাত পাকিয়েছিলেন শান্তনু। বালি পাচারেও যোগ রয়েছে এই তৃণমূল নেতার, অন্তত ইডি-র হাতে উঠে এসেছে সেই তথ্যও।

এদিকে  ইডি-র তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে যে, প্রিয়াঙ্কার নামে প্রচুর সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। এর আগেও প্রিয়াঙ্কাকে তলব করেন ইডি আধিকারিকরা। তবে ইডি-র তরফ থেকে যাওয়া সেই সব নোটিশ নোটিশ এড়িয়ে যান প্রিয়াঙ্কা।  একইসঙ্গে ইডি-র তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, চলতি সপ্তাহে ফের তলব করা হয় প্রিয়াঙ্কাকে। প্রিয়াঙ্কাকে নতুন করে তলব করার পর তাঁর মা জানান, ইডি ডেকেছে যাবে। সঙ্গে এও জানান, শনিবার নাতিকে নিয়ে বেরিয়েছেন তাঁর মেয়ে, এখনও বাড়ি ফেরেননি। মেয়ে কোথায় গিয়েছে, তা বলতে পারেননি তিনি। কোনও যোগাযোগ হয়নি বলেও দাবি করেছেন।

এদিকে শান্তনু ইডি-র দীর্ঘ জেরায় জানিয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতিতে চাকরির রেট নির্ধারণ করতেন এই শান্তনু। প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি, সংগঠিত শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে রেট নির্ধারণ করতেন শান্তনু। এদিকে হুগলি জেলায় ইডি-র আধিকারিকেরা তদন্ত করে এও জানতে পেরেছেন, এলাকায় ব্যাপক দাপট হঠাৎ-ই শুরু হয় এই শান্তনুর। সঙ্গে তৈরি হয় রিসর্ট থেকে ধাবা-র মতো আরও অনেক কিছুই। সব মিলিয়ে শান্তনুর সম্পত্তির পরিমাণ ঠিক কত হতে পারে তারই হদিশ পেতে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × four =