সমালোচনায় কোণঠাসা সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, পরিত্রাণ পেতেই বাড়িতে ডাক পড়ল রাহুলের!

তিনি মালিক, তাতে কী! ব্যবসায়ী হিসেবে দেশজোড়া নাম তাঁর, তাতে কী! এ দেশে ক্রিকেটাররাই জাতীয় নায়ক। মালিক হলেও তিনি প্রকাশ্যে ধমকাতে পারেন না। টিমগেমে দায় একা কারও নয়। মালিক হিসেবে ক্ষুব্ধ হতেই পারেন। কিন্তু প্রকাশ্যে মনের ঝাল মেটাবেন, তা হতে পারে না। মহেন্দ্র সিং ধোনির ক্ষেত্রে যা করে পার পেয়েছিলেন, লোকেশ রাহুলের ক্ষেত্রে তা করতে পারবেন না, বুঝে গিয়েছিলেন। সমালোচনায় জেরবার হয়ে গিয়েছিল। কার্যত কোণঠাসাই বলা যায়। তার ফলাফল কী দাঁড়াল? সোমবার রাতে লখনউ সুপার জায়ান্টসের মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা দিল্লিতে নিজের বাসভবনে ডাকলেন লোকেশ রাহুলকে। স্পেশাল ডিনারে শুধু মান ভাঙানোর চেষ্টা করলেন টিমের ক্যাপ্টেনের? নাকি, রাহুলের কাছে মাথানত করতে বাধ্য হলেন? এই খবর চাউর হতেই দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরেই সায় দিচ্ছে ক্রিকেট দুনিয়া।

ওই ঘটনার পর থেকে প্রবল চাপে পড়ে গিয়েছিলেন সঞ্জীব। ক্রিকেট দুনিয়া চলে গিয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। মালিক হিসেবে তিনি জয়-হারের খতিয়ান নিতে পারেন। তাই বলে প্রকাশ্যে ক্যাপ্টেনকে ধমকাতে পারেন না। রাহুলের ভারতীয় টিমের সতীর্থ মহম্মদ সামি পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। বলে দিয়েছিলেন, টিমের মালিক হিসেবে যেমন সম্মান রয়েছে সঞ্জীবের, প্লেয়ার হিসেবে তেমনই সম্মান প্রাপ্য রাহুলেরও। এটা ভুলে গেলেন কী করে লখনউ টিমের মালিক! শুধু তাই নয়, অন্য সব মহলের সমর্থন গিয়েছে রাহুলের দিকে। ভারতীয় ক্রিকেটে সম্প্রতি এত বড় বিতর্ক দেখা যায়নি। বিরাট কোহলির ভারতীয় টিমের ক্যাপ্টেন্সি ছাড়ার থেকেও বড় চেহারা নিয়েছে সঞ্জীব-বিতর্ক। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এই ইস্যুতে কী সিদ্ধান্ত নেয়, সে দিকে তাকিয়েছিলেন অনেকেই। বোর্ডের নির্দেশেই কি তড়িঘড়ি সব বিতর্ক চাপা দিলেন? প্রশ্ন কিন্তু থেকে যাচ্ছে।

মাঠে রাহুলকে ধমকানোর পর রীতিমতো ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল গোয়েঙ্কাকে। শাহরুখ খান, প্রীতি জিন্টার মতো টিম মালিকদের উদাহরণ দেওয়া শুরু হয়ে যায়। টিম হারলেও যাঁরা প্লেয়ারদের পাশে থাকার চেষ্টা করেন। লখনউয়ের মালিক টিম হারতেই কেন এমন আচরণ করলেন? ক্যাপ্টেনকে নরম করতে বাড়িতেই ডেকে পাঠান সোমবার রাতে। সেখানেই বিশেষ ডিনারে রাহুলকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, তা বলাই বাহুল্য। তার পিছনে একটা বড় কারণ রয়েছে, হায়দরাবাদ ম্যাচের ওই ঘটনার পর টিম ছাড়ার কথা ভাবতে শুরু করে দিয়েছিলেন রাহুল। বাকি দুটো ম্যাচ রয়েছে আইপিএলে। ১৪ মে অর্থাৎ আজ এবং ১৭ জুন। এই দুটো ম্যাচেও নাকি মাঠে নামতে নাও পারেন রাহুল। রাহুল এমন কিছু করলে টিমের সম্মানহানী হবে। তা বুঝতে পেরেই কি তড়িঘড়ি রাহুলকে ডেকে পাঠালেন? সম্ভাবনা কিন্তু উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × one =