আবার একটা বছর আইপিএল থেকে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে বিরাট কোহলির দলকে। অনেকেই বলবেন তিনি এখন আর বেঙ্গালুরু অধিনায়ক নন। কিন্তু সবাই জানেন ফ্যাফ ডু প্লেসি নামমাত্র অধিনায়ক। আসল চাবিকাঠি থাকে বিরাট কোহলির হাতে। আইপিএল পৃথিবীর অন্যতম কঠিন টুর্নামেন্ট। এখানে চ্যাম্পিয়ন হওয়া সহজ কথা নয়। ছেলের হাতের মোয়া নয়। অধিনায়কত্বের ভার সরিয়ে ফেলেও সেভাবে রানে ফেরা হল না তাঁর। একটি ইনিংস ছাড়া ১৬ ম্যাচে মনে রাখার মতো কিছুই করতে পারলেন না। আর তাই বীরেন্দ্র শেহওয়াগ, সঞ্জয় মঞ্জরেকরের মতো প্রাক্তনীদের সমালোচনার মুখে পড়তে হল কোহলিকে।
শুক্রবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মাত্র ৭ রান করে আউট হন আরসিবি’র প্রাক্তন অধিনায়ক। আর সেই সঙ্গে রাজস্থানের কাছে হেরে ফাইনালে পৌঁছনোর স্বপ্নভঙ্গ হয় ব্যাঙ্গালোরের। টুর্নামেন্ট কোহলির পারফরম্যান্সে বেশ হতাশ শেহওয়াগ। একটি ইংরাজি সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, “কেউ ফর্মের বাইরে থাকলে প্রতিটা বল ব্যাটের মাঝখান দিয়ে মারার চেষ্টা করে। আর ডেলিভারি ব্যাটে-বলে হলেই আত্মবিশ্বাস বাড়ে। কিন্তু একেবারেই ফর্মে কিছু ডেলিভারিকেই টার্গেট করা হয়। সেটাই কোহলি করতে চেয়েছে। এই বিরাটকে আমরা চিনি না। এবারের আইপিএলে ও অজস্র ভুল করেছে। গোটা কেরিয়ারে যা করেনি।”
রাজস্থানের বিরুদ্ধে তাঁর ক্যাচ আউট নিয়েও বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন বীরু। তাঁর কথায়, “ব্যাটে রান না এলে নানারকম প্রয়াস করে থাকে ব্যাটার। কোহলি হয় বুদ্ধি করে ওই ডেলিভারি ছেড়ে দিতে পারত, নাহলে আরও জোরে ব্যাট চালাতে পারত। কিন্তু ও তো একেবারে ক্যাচ-প্র্যাকটিসের মতো করে ব্যাট চালাল। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সকলেই ওর থেকে বড় রান আশা করেছিল।” শেহওয়াগের মতো হতাশা প্রকাশ করেন সঞ্জয় মঞ্জরেকরও। টুইটারে তিনি লেখেন, “বারবার ফ্রন্ট ফুটে এসে খেলার চেষ্টা করছে কোহলি। তাতে লাভ হচ্ছে না। মানসিক চাপের বিষয়টা বুঝতে পারছি, কিন্তু টেকনিকের গন্ডগোলও অস্বীকার করা যায় না।” উল্লেখ্য, এবারের আইপিএলে ১৬ ম্যাচে কোহলির সংগ্রহ ৩৪১ রান। যার মধ্যে রয়েছে দুটি মাত্র হাফ সেঞ্চুরি। গড় ২২.৭৩। স্ট্রাইক রেট ১১৫.৯৯। ২০১২ সালের পর এবারই সবচেয়ে খারাপ পারফর্মেন্স বিরাটের।