কেরিয়ারের শেষ উইম্বলডনে চমক, মিক্সড ডাবলসের সেমিফাইনালে সানিয়া মির্জা

আগেই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন ২০২২ সালের পরে আর পেশাদার টেনিস খেলবেন না। তারপর হতাশ করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনেও। কিন্তু উইম্বলডনে এসে চমক দিলেন সানিয়া মির্জা। সেমিফাইনালে উঠে গেলেন ভারতের টেনিস সুন্দরী। সোমবার মিক্সড ডাবলসে ক্রোয়েশিয়ার মেট পাভিচকে নিয়ে উম্বলডনের শেষ চারে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। চতুর্থ বাছাই জুটি গ্যাব্রিয়েলা ডেব্রোস্কি ও জন পিয়ার্সের জুটিকে হারিয়েছেন তাঁরা। তিন সেটের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পরে শেষ হাসি হেসেছেন সানিয়ারাই। উইম্বলডনের মিক্সড ডাবলস ইভেন্টে এটাই সানিয়ার সেরা পারফরম্যান্স।
ষষ্ঠ বাছাই হিসেবে এই টুর্নামেন্টে খেলছেন সানিয়া-মেট। এর আগে উইম্বলডনে ডাবলস ট্রফি জিতেছেন তিনি।

তৃতীয় রাউন্ডে ওয়াকওভার পেয়ে সোমবারের ম্যাচে নেমেছিলেন সানিয়ারা। তবে ম্যাচের শুরুর দিকে একেবারেই দাপট দেখাতে পারেনি ইন্দো-ক্রোয়েশিয়ান জুটি। ধীরে ধীরে ম্যাচে ফেরেন তাঁরা। ৬-৪ ফলে প্রথম সেট জিতে নেন সানিয়া-মেট।
দ্বিতীয় সেটে দুরন্ত কামব্যাক করেন গ্যাব্রিয়েলা ও জন। চতুর্থ বাছাই জুটি কার্যত দাঁড়াতেই দেয়নি সানিয়াদের। ৩-৬ গেমে এই সেট হেরে যান সানিয়া ও মেট। শেষ সেটে মাথা ঠান্ডা রেখে খেলতে শুরু করেন তাঁরা। তুমুল লড়াই চলে দুই জুটির মধ্যে। সেট টাইব্রেকারে যাওয়ারও সম্ভাবনা তৈরি হয়। কিন্তু তা হতে দেননি সানিয়ারা। চাপ উড়িয়ে ৭-৫ ফলে ম্যাচ জিতে যান তাঁরা।
বাকি তিন গ্র্যান্ড স্লামের মিক্সড ডাবলস খেতাব জিতলেও উইম্বলডনের মিক্সড ডাবলস খেতাব জিততে পারেননি ভারতীয় টেনিসের গ্ল্যামার গার্ল। তাই কেরিয়ারের শেষ বছরে এসে খেতাব জিততে মরিয়া তিনি। মহিলাদের ডাবলস বিভাগের প্রথম রাউন্ডেই ছিটকে গিয়েছেন। তাই ভরসা এখন মিক্সড ডাবলসই। তাছাড়াও চলতি উইম্বলডনে ভারতীয়দের মধ্যে একমাত্র সানিয়াই শেষ আশা হয়ে টিকে রয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যাশার চাপ বাড়ছে তাঁর উপরে। সেই কারণেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সেমিফাইনালে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে চলেছেন সানিয়া। কিন্তু চাপ সামলাতে অভ্যস্ত তিনি। কেরিয়ারের শেষ লগ্নে এসে তাঁর হাতে উইম্বলডন মিক্সড ডাবলসের ট্রফি উঠুক, এমনটাই আশা ভক্তকুলের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × four =