গত কয়েকদিনে রাজ্য রাজনীতিতে চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে সন্দেশখালি। অধরা তৃণমূল নেতা শেখ শাহাজাহান। তার অনুগামীরা এলাকায় দাপট দেখাচ্ছে বলেই অভিযোগ। গ্রামবাসীদের দীর্ঘদিনের জমা ক্ষোভ বেরিয়ে এসেছে শাহজাহান ব্যাকফুটে যেহেতই।
তার জেরেই জ্বলছে সন্দেশখালি।এদিকে আজ, বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি অভিযান করতে বাম, বিজেপি, কংগ্রেস। প্রত্যেকেই আলাদাভাবে। আর তার জেরেই ফের অশান্তির আশঙ্কায় তত্পর প্রশাসন। প্রসঙ্গত, সন্দেশখালির বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় বিজেপি-পুলিশের ধস্তাধস্তিতে বুধবার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বিজেপি, কংগ্রেস ও বামেরা যাচ্ছেন সন্দেশখালি। অশান্তির আশঙ্কায় মোতায়েন পুলিশ ও ব়্যাফ। বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড করে আটকে দেওয়া হয়েছে রাস্তা।
বুধবার টাকির ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্য জুড়ে এসপি অফিস অভিযানের ডাক দেয় বঙ্গ বিজেপি। বর্ধমানের কার্জন গেটে কাছে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের ধুন্ধুমার বেধে যায়। চার বিজেপি বিধায়ককে নিয়ে বাস বাসন্তী হাইওয়ে ধরতেই আবার আটকায় পুলিশ। যদিও কিছু ক্ষণের মধ্যেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুদের বাসকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাস আবার রওনা দেয় সন্দেশখালির উদ্দেশে।
বিজেপির পাঁচ সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের ও গন্তব্য সন্দেশখালি। তফশিল কমিশনের সদস্যরাও আজ যাচ্ছেন ওই এলাকায়। এদিকে নির্যাতিত গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলতে এদিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কংগ্রেস অধীর চৌধুরীও যাবেন সন্দেশখালি। যাওয়ার কথা রয়েছে বামেদেরও।