মহিলা কোচের যৌন নিগ্রহের অভিযোগ এমন এক বিতর্কের মুখে হরিয়ানার ক্রীড়া দফতরের দায়িত্ব ছাড়লেন হরিয়ানার মন্ত্রী সন্দীপ সিং। হরিয়ানার ক্রীড়ামন্ত্রী, ভারতীয় হকি দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সন্দীপ সিংয়ের বিরুদ্ধে উঠল যৌন নিগ্রহের অভিযোগ। আর এই অভিযোগ জানান হরিয়ানারা এক জুনিয়র অ্যাথলিট দলের মহিলা কোচ। এরপরই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, যৌন নিগ্রহ, ভয় দেখানো , জোর করে আটকে রাখার মতো অভিযোগে মামলা রুজু করে চণ্ডীগড় পুলিশ। এই ঘটনায় সন্দীপ সিংয়ের বিরুদ্ধে সুর চড়ায় বিরোধী ইন্ডিয়ান ন্যাশানাল লোকদল এবং কংগ্রেস। এদিকে এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন প্রাক্তন এই অলিম্পিয়ান। বিরোধী ইন্ডিয়ান ন্যাশানাল লোকদলের দফতরে বসে সাংবাদিক বৈঠক করে এই ঘটনার কথা জানান ওই মহিলা কোচ। সঙ্গে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিও তোলেন তিনি। এরপরই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪, ৩৫৪ এ, ৩৫৪ বি, ৩৪২, এবং ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু হয়। এরপরই রবিবার সন্দীপ জানান, ‘তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। মহিলা কোচের আনা অভিযোগ মিথ্যা। এউই নিয়ে তদন্ত চলছে। নৈতিকতার খাতিরে তদন্ত চলাকালীন ক্রীড়া দফতর মুখ্যমন্ত্রীকে ফিরিয়ে দিচ্ছি। পরবর্তী সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীই নেবেন।’
এদিকে অভিযোগকারী কোচের দাবি, নিজের বাড়ি তথা অফিসে ডেকে তাকে যৌন নিগ্রহ করেন হরিয়ানার ক্রীড়ামন্ত্রী সন্দীপ সিং। এর আগে বেশ কিছুদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সন্দীপ তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য জোরাজুরিও করছিলেন বলে দাবি করেন ওই মহিলা কোচ। একইসঙ্গে ওই অভিযোগকারী মহিলা জানান, এক জিমে মন্ত্রী সন্দীপ সিংয়ের সঙ্গে তাঁর প্রথম দেখা হয়। এরপরেই ইনস্টাগ্রামে প্রাক্তন এই হকি খেলোয়াড় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অভিযোগকারীর দাবি, বহুবার বলার পর শেষ পর্যন্ত সন্দীপ সিংয়ের বাড়ি তথা অফিসে যেতে রাজি হন তিনি। নির্দিষ্ট দিনে নথিপত্র নিয়ে মন্ত্রীর অফিসে হাজির হন। অভিযোগ, এরপরই তাঁর উপরে চড়াও হন হরিয়ানার ক্রীড়ামন্ত্রী। আর এই ঘটনায় হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরের মন্ত্রিসভা থেকে সন্দীপ সিংকে বরখাস্ত করার দাবিও তোলেন তিনি। প্রসঙ্গত, কুরুক্ষেত্রের পেহোয়া থেকে বিজেপির টিকিটে ভোটে জেতেন প্রাক্তন এই অলিম্পিয়ান সন্দীপ সিং। এরপর মনোহর লাল খট্টর মন্ত্রিসভায় ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্ব পান।