আইএফএ শিল্ডের ফাইনাল হেরে ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুঁজো সাংবাদিক সম্মেলনে এসে বলেন, টাইব্রেকারে দেবজিৎ মজুমদারকে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত তার সহকারীদের ছিল। তিনি চাননি গিলকে বসিয়ে দিয়ে দেবজিৎকে নামাতে। এরপর থেকেই ইস্টবেঙ্গলের অন্দরে ফাটলের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। তাহলে কি নিজের সহকারীদের সঙ্গে মতের অমিল রয়েছে অস্কারের? এবার প্রকাশ্যে এল সেই ফাটল। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব থেকে পদত্যাগ করলেন দলের বাঙালি গোলকিপার কোচ সন্দীপ নন্দী। অস্কার ব্রুঁজোর সঙ্গে মতবিরোধের জেরেই এই সিদ্ধান্ত নিলেন সন্দীপ।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার সকালের বিমানবন্দরে। এদিন সকালের বিমানেই সুপার কাপ খেলার জন্য গোয়া উড়ে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল দল। গোটা দল সহ ছিলেন কোচিং স্টাফেরাও। গোয়া বিমানবন্দর থেকেই কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এর জেরে গোয়া পৌঁছেও সেখান থেকে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন সন্দীপ নন্দী। দেবজিৎকে নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েই এই মনোমালিন্যর সূত্রপাত বলে মনে করা হচ্ছে। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের গোলকিপার কোচের দায়িত্ব ছাড়লেন এই বাঙালি গোলকিপার। বিস্ফোরক সন্দীপ নন্দী একহাত নিলেন ইস্টবেঙ্গল হেড কোচ অস্কার ব্রুঁজোকে। সন্দীপ নন্দী আক্ষেপের সুরে জানালেন, শুরু থেকেই ইস্টবেঙ্গলে কোনও রকম ভালো কাজের পরিবেশ তিনি পাননি। তাঁর কথায়, “আমাকে সব সময়ই সন্দেহ করা হত। কারণ ক্লাব থেকে আমাকে দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। আমি নাকি খবর ফাঁস করি ক্লাব অফিসিয়ালদের। এই পরিবেশে কাজ করা যায় না। গোয়া বিমানবন্দরে আমাকে যখন সকলের সামনে অপমান করা হয়, তখন আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। ভারতীয় কোচেদের অপমান করার সাহস বিদেশি কোচেরা কিভাবে পায়?”

