আইপিএলের ৬৯ নম্বর ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও দিল্লি ক্যাপিটালস । মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে রোহিত শর্মারা চলতি মরশুমের শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন সেদিন।মুম্বইয়ের ফ্যানরা আশা করেছিলেন যে, শেষ ম্যাচে হয়তো সচিন পুত্র অর্জুন তেন্ডুলকরকে খেলাবে মুম্বই। কিন্তু না শেষ ম্যাচেও অর্জুনের জায়গা হয়েছে সেই রিজার্ভেই। বাঁ-হাতি পেসার এক ম্যাচও খেলার সুযোগ পেলেন না এবার! অর্জুনকে মুম্বইয়ের জার্সিতে মাঠে না দেখার প্রতিক্রিয়া জানালেন মুম্বইয়ের মেন্টর ও অর্জুনের বাবা সচিন।
‘সচিনইনসাইট’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন সচিন। কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, তিনি কি অর্জুনকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জার্সিতে দেখতে চেয়েছিলেন এই মরশুমে? এর উত্তরে সচিন বলেন, “এটা সম্পূর্ণ অন্য প্রশ্ন। আমি কী ভাবছি বা কী মনে করছি, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। এই মরশুম শেষ হয়ে গিয়েছে। অর্জুনের সঙ্গে আমার যখনই কথা হয়, তখনই আমি ওকে বলি যে, রাস্তা কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং হবে। তুমি ক্রিকেট খেলছ, কারণ ক্রিকেটকে তুমি ভালবেসেছ। আর এটাই করতে থাকবে। কঠোর পরিশ্রম করলে রেজাল্ট আসবেই। যদি দল নির্বাচনের কথা বলেন, তাহলে বলতে পারি, এই বিষয়গুলিতে আমি কখনও ঢুকি না। এটা টিম ম্যানেজমেন্টের ওপর ছেড়ে দিই। এভাবেই আমি কাজ করি।”
গত মরশুমে অর্জুনকে ২০ লক্ষ টাকায় দলে নিয়েছিল মুম্বই। কিন্তু চোটের জন্য মুম্বইয়ের হয়ে একটি ম্যাচও খেলা হয়নি বছর বাইশের ক্রিকেটারের। মুম্বই ছেড়ে দেয় অর্জুনকে। নীতা আম্বানির ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা (১৬ কোটি টাকা), বুমরা (১২ কোটি), সূর্যকুমার যাদব (৮ কোটি টাকা) ও কায়রন পোলার্ডকে (৬ কোটি) ধরে রেখেছিল। ৪৮ কোটি টাকা নিয়ে নিলামে নেমে অর্জুনকে ফের ৩০ লক্ষ টাকায় কেনে মুম্বই।