প্রধানমন্ত্রীর হাতে ‘নমো’ লেখা জার্সি তুলে দিলেন সচিন

২৩ সেপ্টেম্বর বারাণসীতে নতুন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের শিলান্যাস করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বারাণসী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকর, সচিন তেন্ডুলকর, কপিল দেব, রবি শাস্ত্রী, দিলীপ বেঙ্গসরকর, রজার বিনি, মদন লাল, গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথ ও গোপাল শর্মারা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে বারাণসী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে ‘নমো’ লেখা ভারতের জার্সি তুলে দেন কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকর। বারাণসী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্মারক হিসেবে একটি ব্যাট উপহার দেন বিসিসিআই সভাপতি রজার বিনি ও বিসিসিআই সচিব জয় শাহ। বারাণসীর এই নতুন স্টেডিয়ামটির প্রস্তাবিত ডিজাইন নেটদুনিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে। ওই স্টেডিয়ামটি দেখতে হবে অর্ধচন্দ্রের মতো। স্টেডিয়ামের অংশ হিসেবে থাকবে মহাদেবের একাধিক সামগ্রী। থাকছে বেলপাতা, ডুগডুগি ও ত্রিশূল। বারাণসী স্টেডিয়ামের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে মোদী বলেন, ‘মণিপুরে ন্যাশানাল স্পোর্টস ইউনিভার্সিটি তৈরি করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে খেলার খাতে কোটি কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। গোরখপুরে স্পোর্টস কলেজ, মিরাটে মেজর ধ্যান চাঁদ স্পোর্টস ইউনিভার্সিটি রয়েছে। এ ছাড়াও সারা দেশে একাধিক স্পোর্টস সেন্টার বানানো হচ্ছে।’ মোদী বারাণসী স্টেডিয়ামের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে বলেন, ‘দেশের বিকাশের জন্য খেলাধুলোর সুযোগ সুবিধার বিরাট বিস্তার প্রয়োজন। আমাদের মধ্যে অনেকেই দুনিয়ার অনেক শহরকে এই কারণেই জানে, কারণ সেখানে আন্তর্জাতিক স্তরের বিভিন্ন খেলার আয়োজন হয়েছে। আমাদের ভারতেও সেই রকম স্পোর্টস সেন্টার বানানো হবে। যাতে এখানেও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক স্তরের খেলার আয়োজন করা যায়। যে স্টেডিয়ামের আজ শিলান্যাস হয়েছে, তা খেলার প্রতি আমাদের এই সংকল্পের সাক্ষী হয়েছে।’ মহাদেবের শহর বারাণসীতে যে স্টেডিয়াম হতে চলেছে তা নিয়ে মোদী বলেন, ‘বারাণসী স্টেডিয়াম ইট-পাথরের বানানো শুধু একটা স্টেডিয়াম হবে না। বরং এই স্টেডিয়াম ভবিষ্যতের ভারতের প্রতীক হবে। এই স্টেডিয়াম স্বয়ং মহাদেবকে সমর্পিত করা হবে। এর নকশাও মহাদেবকে সমর্পণ করে বানানো। এই স্টেডিয়ামে একাধিক ক্রিকেট ম্যাচ হবে। যার ফলে বারাণসীতে ক্রিকেট খেলতে চাওয়া যুবক-যুবতীরা সুবিধা পাবে। আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। কারণ, আমার কাশী সবসময় আমাকে আশীর্বাদ দেয়। আমার পাশে দাঁড়ায়। তোমাদের ছাড়া কাশীতে কোনও কাজ পূরণ হয় না। আমরা কাশীতে এই ভাবেই বিকাশের নতুন অধ্যায় লিখব। কাশীর বাসিন্দাদের এই বারাণসী ক্রিকেট স্টেডিয়ামের শিলান্যাসের জন্য শুভেচ্ছা জানাই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − two =