রাষ্ট্রসংঘের নিষেধাজ্ঞাকে পাত্তা না দিয়েই পূর্ব ইউক্রেনের (Ukraine) দখলকৃত অংশে গণভোট করাল রাশিয়া (Russia)। তাদের দাবি, ভোট তাদের পক্ষে গিয়েছে। শুক্রবারই রুশ প্রেসিডেন্ট ক্রেমলিনের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। সেখানেই ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করার কথা সরকারি ভাবে ঘোষণা করবেন তিনি। রাশিয়া প্রশাসনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এমনটাই জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত অগস্ট মাসে দোনবাস, জাপরজাই ও খেরসন অঞ্চলে মস্কোর ‘পুতুল প্রশাসন’ গণভোটের পথ প্রশস্ত করে একটি ডিক্রি জারি করেছিল। ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধের গোড়াতেই ওই চারটি এলাকার দখল নিয়েছিল ভ্লাদিমির পুতিনের সেনা। বিশ্লেষকদের মতে, দোনবাস অঞ্চল-সহ ইউক্রেনের একটি বড় অংশকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা নেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আকারের দিক থেকে তা প্রায় পর্তুগালের সমান। অবশেষে সরকারি ভাবে ওই অংশকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করতে চলেছেন পুতিন।
এদিকে, গণভোট নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আগেই জানিয়েছিলেন, অধিকৃত অঞ্চলে যদি গণভোট হয়, তা হলে আলোচনার সমস্ত পথ বন্ধ হয়ে যাবে। এমনটা কোনওভাবেই মেনে নেবে না ইউক্রেন ও তার মিত্র দেশগুলি। কিন্তু যুদ্ধে কিছুটা বেকাদায় পড়লেও সেই হুমকি উড়িয়ে দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)।
রাশিয়া এই চার অঞ্চলে নিজেদের দেশে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য উঠে পড়ে লাগলেও পশ্চিমি দেশগুলি রাশিয়াকে আগে থেকেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে। জি৭ দেশগুলি জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার এই অন্তর্ভুক্তিকে কোনওদিন মান্যতা দেবে না। এদিকে পশ্চিমি দেশের এই হুঁশিয়ারির কোনও তোয়াক্কা না করে পুতিন পাল্টা হুমকি দিয়েছেন পশ্চিমের দেশগুলিকে। তিনি সম্প্রতি রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর আংশিক গতিবিধি বৃদ্ধি করার ঘোষণা করেছেন। এবং পশ্চিমি বিশ্বকে সতর্ক করে তিনি একপ্রকার জানিয়ে দিয়েছেন,রাশিয়ার ভূখণ্ডকে রক্ষা করতে তিনি সমস্ত অস্ত্র প্রয়োগ করবেন। পুতিনের এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে বিশ্বের একাধিক দেশ।