রেশন দুর্নীতির ৩৫০ কোটি টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে দুবাইয়ে পাচার

রেশন দুর্নীতির মামলার কালো টাকা সাদা করতে বিদেশে যে পাচার করা হত, সে তথ্য আগেই দিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। তৃতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে ইডির দাবি, গত ২০১৪-১৫ সাল থেকে মোট ৩৫০ কোটি টাকা দুবাই পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ হয়ে হাওয়ালার মাধ্যমে বিপুল টাকা পাচার করা হয় বলেই অভিযোগ। শুক্রবার তৃতীয় অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দিল ইডি। ওই চার্জশিটে ইডির দাবি, ২০১৪-১৫ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ৩৫০ কোটি টাকা দুবাইতে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ হয়ে হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচার করা হয়েছে বলেই দাবি।

ওই চার্জশিটে নাম রয়েছে ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসেরও। তাঁর বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় সংস্থার বিরুদ্ধেও অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকর আঢ্য ইতিমধ্যে রেশন দুর্নীতিতে জেলবন্দি। তাঁর কর্মচারী ছিলেন বিশ্বজিৎ। মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং শংকরের মধ্যে আর্থিক লেনদেন মাধ্যম ছিলেন তিনি। ওই টাকাই নাকি বিশ্বজিৎ হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রায় বদলে পাচার করা হত দুবাইতে। ইডির অনুমান, ২ হাজার কোটি টাকা শংকরের মাধ্যমে দুবাই পাঠানো হয়েছিল। তার বেশ কিছুটা অংশের মালিক ছিলেন বিশ্বজিৎ।

মার্চে রেশন দুর্নীতি মামলায় প্রথম চার্জশিট জমা দিয়েছিল ইডি। তাতে নাম ছিল বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকর আঢ্য। প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে তাঁর যে আর্থিক লেনদেন ছিল, তা উল্লেখ করেছিল ইডি। রেশন দুর্নীতি মামলার কালো টাকা সাদা করতে কমিশনও পেতেন শংকর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − twelve =