রুদ্ধশ্বাস, রোমাঞ্চকর, হার্ট অ্যাটাকের পরিস্থিতি। সব রকম ভাবেই বর্ণনা করা যায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু বনাম চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচকে। গত কয়েক দিন ধরেই আলোচনায় এই ম্যাচ। আইপিএলের মঞ্চে শেষ বার মুখোমুখি মহেন্দ্র সিং ধোনি ও বিরাট কোহলি। দু-জনেই দুর্দান্ত খেললেন। কিন্তু একজনকে হারতেই হত। আর সেই ঘরে মহেন্দ্র সিং ধোনি। শেষ বলে ম্যাচের ফয়সালা হল। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ, একাধিক নাটক। বিরাট কোহলির দুর্দান্ত ইনিংস, রোমারিও শেপার্ডের তাণ্ডবে ২১৪ রানের বিশাল টার্গেট দেয় আরসিবি। রান তাড়ায় অনবদ্য আয়ুষ মাহত্রে। অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস। অন্যদিকে, একঝাঁক ক্যাচ মিস আরসিবির। এমনকি বিরাট কোহলির মতো ফিল্ডারও সহজ ক্যাচ ফসকালেন! তেমনই ডিওয়াল্ড ব্রেভিসকে আউট এবং ডিআরএস টাইমার না থাকা নিয়ে তৈরি হল বিতর্ক। সব শেষে ১৬ পয়েন্টের ম্যাজিক ফিগারে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। সাধারণত এই পয়েন্টে পৌঁছনোর পর কোয়ালিফায়ারে যায় টিম। কিন্তু এ বারের পরিস্থিতি একটু আলাদা।
বোর্ডে বড় টার্গেট থাকলেও রান তাড়ায় দুর্দান্ত খেলছিল চেন্নাই সুপার কিংস। স্লগ ওভারে গিয়েই ম্যাচ পেন্ডুলামের মতো এ দিক-ওদিক। ১৮তম ওভারে মাত্র ৬ রান দেন সূয়াশ শর্মা। উইকেটও পেতে পারতেন। তবে আরও একটা ক্যাচ মিস হয় আরসিবির। শেষ ২ ওভারে ২৯ রানের টার্গেট দাঁড়ায় চেন্নাই সুপার কিংসের। ক্রিজে ধোনি-জাডেজা জুটি। ভুবনেশ্বর কুমারের উপরই ছিল ভরসা। জশ হ্যাজলউড না থাকায় এমনিতেই ব্যাকফুটে ছিল আরসিবি। শেষ ওভার আরও রোমাঞ্চকর। চেন্নাইয়ের চাই ১৫। স্ট্রাইকে ধোনি। বোলিংয়ে যশ দয়াল।
প্রথম দু-বলে সিঙ্গল। তৃতীয় ডেলিভারিতে ধোনিকে আউট করে আরসিবি শিবিরে প্রাণ ফেরান যশ দয়াল। কিন্তু পরের ডেলিভারিই ফুলটস এবং নো। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামা শিবম দুবে বিশাল ছয় মারেন। ফ্রি-হিটও পান। যদিও ফ্রি-হিটে সিঙ্গল। শেষ ডেলিভারিতে বাউন্ডারি প্রয়োজন ছিল। যশ দয়ালের ইয়র্কারে বাউন্ডারি আসেনি। মাত্র ২ রানে জয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। এখনই অবশ্য নামের পাশে সরকারি ভাবে প্লে-অফ নিশ্চিত লেখা যাবে না। যদিও বলাই যায়, কার্যত কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত আরসিবির।

