পার্ক ভ্রমণ বা পাহাড়ের এ মাথা থেকে ও মাথা নয়, খোদ শহরেই জনবহুল রাস্তায় ওপর রোপওয়ে চালুর ব্যবস্থা করতে চলেছে রাজ্য পর্যটন দপ্তর।দক্ষিণ ২৪ পরগনার স্বামীনারায়ণ মন্দির থেকে ভাসা পর্যন্ত আকাশপথেই যাতায়াত করতে পারবেন উত্সাহী মানুষজন। এমনই ব্যবস্থা করতে চলেছে রাজ্যের পর্যটন দপ্তর (Tourism Department)।
যদিও জোকা এলাকায় গণ পরিবহণে রোপওয়ে প্রজেক্টের কথা শোনা গিয়েছিল বেশ কয়েকবছর আগে। তারপর এ নিয়ে বিশেষ কোনও পদক্ষেপ হয়নি। তবে এবার ফের এ নিয়ে ভাবনা শুরু হয়েছে।
কলকাতার বুকে বিনোদনের জন্য রোপওয়ে অবশ্য নতুন নয়। নিক্কো পার্ক, সায়েন্স সিটি-র মতো বিনোদন পার্কে রোপওয়ের ব্যবস্থা আছে। তবে জনপদের ওপর দিয়ে যাত্রী পরিবহণের রোপওয়ে এখনও পশ্চিমবঙ্গের নেই। জানা গিয়েছে,আপাতত ‘জয় রাইড’ হিসাবে হলেও পরে গণপরিবহণের অঙ্গ হিসাবেই এই মহানগরে রোপওয়ে চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে পরিবহণ দপ্তর।
প্রথম ধাপে বিষ্ণুপুরের (Bishnupur) স্বামীনারায়ণ মন্দির থেকে ভাসা পর্যন্ত তা চালু হবে পাইলট প্রজেক্ট। এ বিষয়ে সম্প্রতি পরিবহণ দপ্তরে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, পরিবহণসচিব বিনোদ কুমার, দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল তাঁর আপ্তসহায়ক অরূপকুমার দাস-সহ অন্য আধিকারিকরা। এছাড়া যে সংস্থা এই রোপওয়ে তৈরির কাজ করবে, তাদের কর্তারাও এই বৈঠকে ছিলেন। প্রাথমিক ধাপে ওই দেড় কিলোমিটারে রোপওয়ে চালু হলেও ভবিষ্যতে আমতলা-বাঁকড়াহাট এবং জোকা-শিরাকোল রুটেও রোপওয়ে চালু করার পরিকল্পনা রেয়েছ। আমতলা-বাঁকড়াহাট রুটে প্রাথমিকভাবে সাতটি স্টেশন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
রোপওয়ে স্টেশন বানাতে খুব বেশি জায়গার প্রয়োজন হয় না। প্রতিটি কেবল কারে আট থেকে দশজন করে যাত্রী বসতে পারবেন। রোপওয়ের স্টেশনের ওপরে পৌঁছতে লিফটের ব্যবস্থা থাকবে। কলকাতাতেও যদি রোপওয়ে চালু হয়, সেক্ষেত্রে দূষণ কমিয়ে শহরে গণপরিবহণে একটা নতুন অধ্যায় শুরু হবে বলা যায়।