স্লোভেনিয়ার বিরুদ্ধে পেনাল্টি সেভের হ্যাটট্রিকে পর্তুগালকে কোয়ার্টার ফাইনালে তুলেছিলেন দিয়েগো কোস্তা। কিন্তু এদিন আর তাঁর গ্লাভস বাঁচাতে পারেনি রোনাল্ডোদের। শুক্রবার রাতে হ্যামবার্গে টাইব্রেকারে পর্তুগালকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে ফ্রান্স। চোখের জলে বিদায় হল রোনাল্ডো, পেপের। গ্যালারিতে বসে তাঁদের সঙ্গে চোখ ভেজালেন লুই ফিগো। টাইব্রেকারে পাঁচে পাঁচ। একশো শতাংশ সাফল্য দিদিয়ের দেশঁর দলের। ফ্রান্সের গোলদাতা ডেম্বেলে, ফোফানা, কুন্ডে, বার্কোলা এবং থিও হার্নান্দেজ। পর্তুগালের হয়ে গোল করেন রোনাল্ডো, বার্নার্ডো সিলভা, নুনো মেন্ডিস। মিস করেন পর্তুগালের জোয়াও ফেলিক্স। তাঁর শট পোস্টে লাগে। এটাই দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিল। নব্বই মিনিটের শেষে গোলশূন্য। ১২০ মিনিটের শেষেও স্কোরলাইনে কোনও পরিবর্তন নেই। শেষমেষ টাইব্রেকারে জিতে সেমিফাইনালে স্পেনের মুখোমুখি ফ্রান্স। পর্তুগালের বিদায়ে ইউরোয় রোনাল্ডো যুগের অবসান হল। শেষবারের মতো মাঠ ছাড়লেন পর্তুগিজ তারকা।
চলতি ইউরোয় এখনও পর্যন্ত সেরাটা দিতে পারেনি দুই দলই। তুরস্কের বিরুদ্ধে ৩-০ গোলে জয় ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোনও পারফরম্যান্স নেই পর্তুগালের। গ্রুপের শেষ ম্যাচে জর্জিয়ার কাছে হারে রোনাল্ডোরা। অন্যদিকে তথৈবচ ফ্রান্সও। সামনে একা রোনাল্ডোকে রেখে দল সাজান মার্টিনেজ। কিন্তু বয়সের সঙ্গে ক্ষিপ্রতা কমেছে সিআরসেভেনের। এদিনও অফকালার দেখায় পর্তুগিজ অধিনায়ককে। প্রত্যেক ম্যাচে শিরোনামে থাকলেও পার্থক্য গড়ে দিতে পারেননি রোনাল্ডো। অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত ইউরোয় গোলের সন্ধানে এমবাপে। গতি বাড়িয়ে বার দুয়েক বিপক্ষের বক্সে ঢুকে পড়লেও আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারেনি। প্রথমার্ধে কোনও দলই গোলের ওপেন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। যদিও বল পজেশন বেশি ছিল পর্তুগালের। ম্যাচের ২০ মিনিটে গোল লক্ষ্য করে প্রথম শট ফ্রান্সের। থিও হার্নান্দেজের দূরপাল্লার শট বাঁচায় কোস্তা। তার দু’মিনিটের মধ্যে গতি বাড়িয়ে বিপক্ষের বক্সে ঢুকে পড়েন এমবাপে। কিন্তু বিপদ সৃষ্টি করতে পারেননি। এদিন থুরামের পরিবর্তে কোলো মুয়ানিকে প্রথম একাদশে রাখেন দিদিয়ের দেশঁ। রাখেননি ডেম্বেলেকেও। প্রথমার্ধে পর্তুগালের একমাত্র হাফ চান্স ৩০ মিনিটে। লিওর শট সরাসরি তালুবন্দি করেন ফ্রান্সের কিপার। প্রথমার্ধে আক্রমণ তৈরি হলেও গোলের পজিটিভ সুযোগ পায়নি কোনও দলই।
ম্যাচের ৬২ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেজের শট বাঁচায় ফরাসি কিপার। তার দু’মিনিটের মধ্যে দারুণ সেভ মাইগনানের। ৬৪ মিনিটে ভিটিনহার শট বাঁচান ফ্রান্সের কিপার। দ্বিতীয়ার্ধে জোড়া সুযোগ নষ্ট ফ্রান্সেরও। ম্যাচের ৬৬ মিনিটে কোলো মুয়ানির নিশ্চিত গোল বাঁচান কোস্তা। তার পাঁচ মিনিটের মধ্যে আবার মিস। এবার ৭১ মিনিটে সিটার নষ্ট করেন কোলো মুয়ানি। সামনে একা পর্তুগালের কিপার কোস্তাকে পেয়েও বাইরে মারেন। ম্যাচের অন্তিমলগ্নে সুযোগ পেয়েও কোনও দলই কাজে লাগাতে পারেনি।