গত ওয়ান ডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছিল ভারত। যদিও শেষ চারে নিউজিল্যান্ডের কাছে হার। সেখানেই সফর শেষ হয় ভারতের। ইংল্যান্ডে গত ওয়ান ডে বিশ্বকাপে একাই পাঁচটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। বিশ্বকাপের এই পাঁচটি সেঞ্চুরি মিলিয়ে সে সময় ওয়ান ডে ফরম্যাটে রোহিতের শতরান সংখ্যা পৌঁছয় ২৭টিতে। গত চার বছরে এই ফরম্যাটে মাত্র তিনটি সেঞ্চুরি করেছেন রোহিত। সাদা বলের ক্রিকেটে বিশ্বের অন্যতম সেরা ওপেনার। এশিয়া কাপের জন্য বেঙ্গালুরুতে একটি প্রস্তুতি শিবির সেরেছে ভারতীয় দল। সে সময়ই এর কারণ ব্যাখ্যা করেছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তাহলে কি ব্যাটিং স্টাইল বদলাবেন? ওয়ান ডে ফরম্যাটে একমাত্র ব্যাটার হিসেবে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি রয়েছে রোহিত শর্মার। এ ছাড়াও বেশ কিছু বড় সেঞ্চুরি। কিন্তু গত চার বছরের চিত্র পুরোপুরি উল্টো। ক’দিন আগেই রোহিত জানান, গত চার বছরে অতিরিক্ত ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাটিং করছেন। বড় স্কোর না এলেও স্ট্রাইকরেট বেড়েছে। স্ট্রাইকরেট এবং ব্যাটিং গড় দুটোর ভারসাম্য রাখা কঠিন। এশিয়া কাপের পরই ঘরের মাঠে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ। এ বার হয়তো নিজের ব্যাটিং স্টাইলে কিছুটা পরিবর্তন করতে পারেন রোহিত শর্মা। এশিয়া কাপ অভিযান শুরুর আগে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেন, ‘এত বছর খেলেছি, সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। আমার কাছ থেকে দলের কী প্রয়োজন সেটাও দেখতে হবে। গত দু-বছর অতিরিক্ত ঝুঁকি নিয়েছি। টপ অর্ডার ব্যাটার হিসেবে আমাকে দেখতে হবে, কখন কতটা ঝুঁকি নিতে হবে। অভিজ্ঞতা ব্যবহার করব। দলকে ভালো জায়গায় রাখাটা জরুরি। একটা জিনিস মাথায় রাখব, ছন্দ ফিরে পেলে সেটা যেন দ্রুত চলে না যায়। নিজের খেলায় সেই ভারসাম্য আনার চেষ্টা করব।’ ওয়ান ডে ফরম্যাটে বিধ্বংসী শুরুর চেয়েও উইকেট বাঁচিয়ে রাখা বেশি জরুরি। ক্রিজে থাকলে পরে রানের গতি বাড়ানো সম্ভব। ওপেনিং জুটি মজবুত হলে মিডল অর্ডারে চাপ কম পড়বে। তারাও খোলামেলা মানসিকতা নিয়ে খেলতে পারবে।