যত আকর্ষণ পিচ ঘিরে! ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে শক্তি-দুর্বলতার চেয়েও আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে পিচ। নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিল ভারত। আমেরিকায় ড্রপ ইন পিচ। যা রেডি হতে অনেকটাই সময় লাগে। এখানে খুব বেশি ম্যাচ না হওয়ায় পিচ এখনও পুরোপুরি রেডি নয়। ফলে অসমান বাউন্স। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলতে হচ্ছে টেস্টের মতো। ব্যাটাররা প্রবল সমস্যায় পড়ছেন। কাল এই মাঠেই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। তার আগে পিচ নিয়ে বড় আপডেট দিলেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
চব্বিশের বিশ্বকাপে লিগ পর্বে নিউ ইয়র্কে প্রথম ম্যাচ খেলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কা। প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ৭৭ রানেই শ্রীলঙ্কা ইনিংস শেষ। যদিও ৭৮ রান তাড়া করতেই কালঘাম ছুটেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। এই মাঠেই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। ব্যাটে বলের সেই চিরাচরিত লড়াই যে দেখা যাবে না, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। এখানকার পিচের চরিত্র তাই বলছে। এই মাঠে ভারতের বিরুদ্ধে আয়ারল্যান্ড মাত্র ৯৬ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল। যার পর আইসিসি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, পরবর্তী ম্যাচগুলিতে সেরা পিচ দিতে বদ্ধপরিকর তারা।
পরিস্থিতি যদিও পাল্টায়নি। রোহিত শর্মা যখন সাংবাদিক সম্মেলন করছেন, নাসাউ স্টেডিয়ামে নেদারল্যান্ডস বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ চলছিল। আইসিসি যে আশ্বাস দিয়েছিল, তা যে মেটেনি বলাই যায়। নেদারল্যান্ডস মাত্র ১০৩ করেছিল। ১০৪ রানের টার্গেটে পৌঁছতে কালঘাম ছুটেছে দক্ষিণ আফ্রিকার। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের পিচ কেমন হবে?
সাংবাদিক সম্মেলনে পিচ প্রশ্নের সামনে পড়েন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। বলছেন, ‘নিউ ইয়র্ক তো আমাদের ঘরের মাঠ নয়। আমরা এখানে দুটো ম্যাচ খেলেছি। এখানকার পিচ নিয়ে তবুও খুব বেশি ধারনা নেই। বিভিন্ন দিন, আলাদা রকমের আচরণ করে পিচ। এমনকি পিচ কিউরেটরও কনফিউজ। এর থেকেই বোঝা যায়, আমাদের অবস্থাটা কীরকম। আমরা এখনও জানি না, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোন পিচটায় খেলা হবে। সুতরাং, এটুকু বলতে পারি, যে দল ভালো খেলবে, তারাই জিতবে।’