দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক ও ব্যাটিং মায়েস্ত্রো সুনীল গাভাসকর ধরে ফেললেন রোহিত শর্মার সাম্প্রতিক রোগ। বিগত কয়েক’টি ম্যাচে ভারত অধিনায়কের ব্যাটিং দেখে গাভাসকরের মনে হয়েছে যে, রোহিত প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত করতে গিয়েই ডুবছেন। গত মঙ্গলবার মোহালিতে ভারত-অস্ট্রেলিয়া তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল। শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়ে টিম ইন্ডিয়া। ২০৮ রান করেও টিম ইন্ডিয়া চার উইকেটে ম্যাচ হেরে যায়। এদিন কেআল রাহুলের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে রোহিত শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন।
কিন্তু ৯ বলে ১১ রানে আউট হওয়ার আগে রোহিতের ব্যাটিং দেখে একেবারেই মনে হয়নি যে, তিনি রয়ে সয়ে চেনা মেজাজে ব্যাট করতে চলেছেন। তাঁর মধ্যে ছিল রান করার অসম্ভব দ্রুততা।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গাভাসকর বলেন, ‘রোহিতের হাতে যে রেঞ্জের শট রয়েছে, তাতে করে ও যা করছে, তা করার কোনও দরকারই নেই। বোলার বল রিলিজ করার আগেই ও স্টেপআউট করে বেরিয়ে যাচ্ছে! এর আগে রোহিত যেভাবে টি-২০ ক্রিকেট খেলেছে, সেখানে ওর স্ট্রাইকরেট ও রান করার ক্ষমতা ছিল চমকে দেওয়ার মতো ভালো। ও অতিরিক্ত কিছু করার চেষ্টাই করত না। কিন্তু বিগত শেষ কয়েক’টি ম্যাচে ওকে দেখে মনে হচ্ছে, ও যেন বেশি কিছু করার চেষ্টা করতে গিয়েই আউট হচ্ছে। সাদা বলও কিন্তু লাল বলের মতো মুভ করে। তবে বলের সামান্য নড়াচড়াই ফারাক গড়ে দেয় যে, বল ব্যাটের মাঝে আসবে নাকি খোঁচা লেগে যাবে। যার মানে বল স্ট্যান্ডে যাওয়ার বদলে বাতাসে থেকে যাবে। আমার মনে হয় রোহিতের নিজেকে আরও একটু সময় দেওয়া প্রয়োজন। ও যদি ধীর গতিতেও শুরু করে, ইনিংস শেষের সময় সেটাকে তিন গুণ জায়গায় নিয়ে যেতে পারে।’
এশিয়া কাপের ভরাডুবির ভূত মনে হয় এখনও টিম ইন্ডিয়াকে তাড়া করছে! সুপার ফোরে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার কাছে জোড়া হারের ধাক্কা থেকে কিছুতেই বেরিয়ে আসতে পারছে না রোহিত শর্মার ভারত। এবার ঘরের মাঠে প্রবল প্রতাপশালী ভারতকে হেলায় হারিয়ে দিল র্যাসঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা অস্ট্রেলিয়া। ক্যামেরন গ্রিন ও বহু যুদ্ধের নায়ক স্টিভ স্মিথের মারকাটারি ইনিংসকে সম্মান জানাল অজিদের লোয়ার মিডল অর্ডারের দুই মারকুটে ম্যাথিউ ওয়েড এবং টিম ডেভিড। এই দুই বাঁহাতির সৌজন্যে মোহালির প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে চার উইকেটে জিতল অস্ট্রেলিয়া। কারণ ভারতীয় বোলারদের হতশ্রী পারফরম্যান্স ও ক্যাচ মিসের বহরের জন্য ফের লজ্জার হার হজম করল ‘মেন ইন ব্লু’ ব্রিগেড।