আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে সফলতম দল এখন ভারত। তিনটি ট্রফি জয়ের রেকর্ড কারও ছিল না। রবিবার দুবাইতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে তৃতীয় বার এই খেতাব জেতে ভারত। ধোনির পর ভারতের দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসেবে একাধিক আইসিসি ট্রফি জয়ের রেকর্ড গড়েছেন রোহিত শর্মা। গত বছর তাঁর নেতৃত্বেই টি-টোয়েন্টিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। তেমনই প্লেয়ার হিসেবে বিরাট কোহলির পাশাপাশি রোহিত চতুর্থ আইসিসি ট্রফি জিতলেন। ভারতের আর কারও যে রেকর্ড নেই। মিনি বিশ্বকাপ জিতিয়েও আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেরা টিমে জায়গা হল না রোহিত শর্মার। কারা রয়েছেন টিমে?
গ্রুপ পর্বের একটি ম্যাচে ৪১ রান করেছিলেন রোহিত। ফাইনালে ম্যাচ জেতানো ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন ক্যাপ্টেন। যদিও সার্বিক ভাবে টুর্নামেন্টে তাঁর ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিকতা ছিল না। আইসিসি টুর্নামেন্টের সেরা যে দল বেছে নিয়েছে, তাতে জায়গা হয়নি রোহিতের। এই টিমের ক্যাপ্টেন নিউজিল্যান্ডের মিচেল স্যান্টনার। ভারতের অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেল রয়েছেন দ্বাদশ প্লেয়ার হিসেবে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেরা একাদশে নিউজিল্যান্ডের তরুণ ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র। দুটি সেঞ্চুরি সহ করেছেন ২৫১ রান। রয়েছেন আফগানিস্তানের ইব্রাহিম জাদরান। যিনি একটি সেঞ্চুরি সহ ২১৬ রান করেছেন। এর মধ্যে রেকর্ড ১৭৭ রানের ইনিংসও রয়েছে। ব্যাটিং অর্ডারে তিনে বিরাট কোহলি। একটি সেঞ্চুরি সহ কিং কোহলি করেছেন ২১৮ রান। ফাইনালের মঞ্চে বড় রান পেলে হয়তো টুর্নামেন্টে সেরার পুরস্কারও তারই ঝুলিতে আসত। চারে প্রত্যাশামতোই ভারতের শ্রেয়স আইয়ার। এই পজিশনে নেমে দুটি হাফসেঞ্চুরি সহ শ্রেয়স করেছেন ২৪৩ রান। এরপর লোকেশ রাহুল। তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর অপরাজিত ৪২ হলেও দুটো ইনিংস সেঞ্চুরির চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। সব মিলিয়ে ১৪০ রান করছেন, ব্যাটিং গড়ও তাই।
আইসিসির সেরা টিমে ৬ নম্বরে রয়েছেন নিউজিল্যান্ডের গ্লেন ফিলিপস। ১৭৭ রন, দুটো উইকেট, পাঁচটি ক্যাচ। এর মধ্যে তিনটি ক্যাচ অবিশ্বাস্য। সাতে বিশ্বের এক নম্বর ওডিআই অলরাউন্ডার আজমতুল্লা ওমরজাই। টুর্নামেন্টে ১২৬ রান, সাতটি উইকেট এবং এক ম্যাচে ফাইফার নিয়েছেন আফগান অলরাউন্ডার। আটে রয়েছেন বাঁ হাতি স্পিনার মিচেল স্যান্টনার। কিউয়ি ক্যাপ্টেন নিয়েছেন ৯ উইকেট। ইকোনমি মাত্র ৪.৮০। নয়ে রয়েছেন ভারতের অভিজ্ঞ পেসার মহম্মদ সামি। তিনিও ৯টি উইকেট নিয়েছেন, এক ম্যাচে ফাইফারও রয়েছে। বাকি দুটি স্থানে রয়েছেন ম্যাট হেনরি ও বরুণ চক্রবর্তী। হেনরি চোটের জন্য ফাইনালে খেলতে পারেননি। একটি ফাইফার সহ নিয়েছেন ১০ উইকেট, অন্য দিকে, মাত্র তিন ম্যাচেই নিয়েছেন ৯টি উইকেট।