প্রয়াত আরজেডি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শরদ যাদব

প্রয়াত আরজেডি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শরদ যাদব। বৃহস্পতিবার রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। শরদ যাদবের মেয়ে সুভাষিনী যাদব ট্যুইট করে বাবার মৃত্যুর খবর দেন। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, ‘পাপা আর নেই। এই প্রবীণ নেতার মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। শরদ যাদেবর প্রয়াণের খবর সামনে আসার পরই শোকের ছায়া নেমে আসে রাজনৈতিক মহলে। টুইটারে শোকপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি  ট্যুইটারে শ্রদ্ধা জানিয়ে লেখেন, ‘শরদজি-র প্রয়াণে ব্যথিত। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি সাংসদ ও মন্ত্রী হিসাবে নিজেকে আলাদা করে রেখেছিলেন। ডা. লোহিয়া আদর্শে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত ছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে আলাপচারিতা সর্বদা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। তাঁর পরিবার ও অনুগামীদের প্রতি সমবেদনা জানাই। ওম শান্তি।‘ আরজেডি নেতা শরদ যাদবের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে ট্যুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ট্যুইটে তিনি লেখেন, ‘প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শরদ যাদবের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি রাতে  গুরুগ্রামে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। রাষ্ট্রীয় জনতা দল, জনতা দল (ইউনাইটেড), লোকতান্ত্রিক জনতা দলের নেতা শরদ যাদব ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত অসামরিক বিমান পরিবহন, ক্রেতা বিষয়ক, খাদ্য ও গণবণ্টন দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন। তিনি সাতবার লোকসভা ও তিনবার রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হন। তাঁর প্রয়াণে রাজনৈতিক  জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমার সঙ্গে তাঁর কার্যকরী হৃদ্য সম্পর্ক ছিল। আমি শরদ যাদবের পরিবার-পরিজন ও  অনুরাগীদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’

১৯৪৭ সালের ১ জুলাই মধ্যপ্রদেশের হোসঙ্গাবাদ জেলার ববাই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন শরদ যাদব। মধ্য়প্রদেশে জন্ম হলেও বিহারের নেতা হিসাবেই তিনি পরিচিত হয়ে ওঠেন ভারতীয় রাজনীতিতে। কারণ, বিহারকে কেন্দ্র করেই তাঁর রাজনৈতিক জীবন আবর্তিত হয়েছে। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্তও ছিলেন শরদ যাদব। ৩ বারের সাংসদ শরদ যাদব অটল বিহারী বাজপেয়ীর সরকারের আমলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন। ২০০৩ সালে তিনি জেডি (ইউ) দলের সভাপতি হন। তারপর লোকসভা নির্বাচনে পরাজিত হলেও তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করেন। ২০০৯ সালে বিহারের মাধেপুরা কেন্দ্র থেকে তিনি জয়ী হন। এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি পরাজিত হলে নীতীশ কুমারের সঙ্গে তাঁর বিরোধ প্রকাশ্যে আসে। তাঁকে রাজ্যসভা থেকে বহিষ্কৃতও করা হয়। ২০১৮ সালে তিনি লোকতন্ত্র জনতা দল হিসাবে একটি পার্টি গঠন করেন। আবার ২০২০ সালে তিনি বিহারে নির্বাচনের আগে কংগ্রেসে যোগ দেন।

এদিকে শরদ যাদবের পরিবার সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানান অসুখে ভুগছিলেন ৩ বারের সাংসদ শরদ যাদব। সম্প্রতি তাঁর শারীরিক অবস্থার যথেষ্ট অবনতি হওয়ায় তাঁকে গুরুগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × four =