রিজওয়ানের শতরান, শ্রীলঙ্কাকে হারাল পাকিস্তান

চোট এবং শ্রীলঙ্কা। জোড়া প্রতিপক্ষর বিরুদ্ধে লড়াই। অনবদ্য একটা ম্যাচ হায়দরাবাদে। জয় দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছিল পাকিস্তান। অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারলেও প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং নজর কেড়েছিল। পাকিস্তান বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচটি রোমাঞ্চকর হবে, এমনটাই প্রত্যাশিত ছিল। পাকিস্তান প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে জিতলেও, তাদের টপ অর্ডার ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন ছিল। অধিনায়ক বাবর আজম নিজেও ভরসা দিতে পারেননি। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেও ব্যর্থ। বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের ভরসা হয়ে দাঁড়ালেন আব্দুল্লা শফিক এবং মহম্মদ রিজওয়ান। দ্বিতীয় জনের কথাই বেশি করে বলতে হয়। ৫০ ওভার কিপিং করার পর ম্যাচ জেতানো ইনিংস। ওয়ান ডে বিশ্বকাপের পরিসংখ্যান বলছে, এর আগে কখনও পাকিস্তানকে হারায়নি শ্রীলঙ্কা। মুখোমুখি সাক্ষাতে ৭-০ এগিয়ে ছিল পাকিস্তান। হায়দরাবাদে শ্রীলঙ্কার কাছে সেই হিসেব কিছুটা হলেও ভালো করার সুযোগ ছিল। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দাসুন শানাকা। ব্যাটাররা দুর্দান্ত মঞ্চ গড়ে দেন। শুরুতেই কুশল পেরেরার উইকেট হারিয়ে সাময়িক চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। কুশল মেন্ডিস এবং সাদিরা সমরবিক্রমের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩৪৪ রান করে শ্রীলঙ্কা। বিশ্বকাপের মঞ্চে এত রান তাড়া করা সহজ নয়। পাকিস্তান অন্তত করেনি। স্বাভাবিক ভাবেই রেকর্ড গড়তে হত। খারাপ ফর্মের কারণে এই ম্যাচে বাদ পড়েন বাঁ হাতি ওপেনার ফখর জামান। পরিবর্তে আব্দুল্লা শফিকের বিশ্বকাপ অভিষেক হয়। উল্টো দিক থেকে ইমাম উল হক ও অধিনায়ক বাবর আজমের উইকেট পড়লেও শফিক ক্রিজে পড়ে থাকেন। মহম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে তাঁর জুটি ক্রমশ মজবুত হয়। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিরাট কোহলি-লোকেশ রাহুল জুটির মতোই অনবদ্য শফিক-রিজওয়ান। শফিক ১১৩ রানে ফিরলেও ক্রিজে পড়ে থাকেন রিজওয়ান। ইনিংসে ৫০ ওভার কিপিংয়ের পর এতক্ষণ ব্যাটিং। পায়ে টান ধরে। ঠিকঠাক দৌড়তে পারছিলেন না। তাতেও লড়াই থামেনি। ১২১ বলে ১৩১ রানের অপরাজিত ইনিংসে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন। শনিবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। তার আগে বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রথম শতরান রিজওয়ানের ব্যাটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four − three =