সিমলা, ১৩ অগস্ট: প্রবল বৃষ্টির জেরে ফের ভূমিধসে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ। একমাস আগেই বন্যা ও ভূমিধসে কারণে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল হিমাচল প্রদেশ। রবিবার ফের ধস নামল বিলাসপুর জেলায়। যার জেরে বন্ধ করে দিতে হয়েছে ২০৫ নম্বর জাতীয় মহাসড়ক। দু’টি ট্রাক এবং একটি যাত্রীবাহী গাড়িরও ক্ষতি হয়েছে।
প্রবল বৃষ্টির জেরে হিমাচলের আরও বেশ কয়েকটি রাস্তা বন্ধ করে দিতে হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। সিমলা পুলিশ জানিয়েছে, কানলোগের কাছে টুটিকান্দি-ফাগলি বাইপাস, সিমলার এডওয়ার্ড ßুñলের কাছে কার্ট রোড, বেওলিয়ার কাছে মেহলি-বাদাগাঁও-শোঘির রাস্তাতেও যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের পর ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে মান্ডি জেলায়। ২৪ জুন থেকে বর্ষা শুরু হয়েছে হিমাচলে। তারপর থেকে অতিবৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধস লেগেই রয়েছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত বর্ষার বলি হয়েছেন অন্তত ২২৩ জন। নতুন করে এদিন বন্যা ও ভূমিধস শুরু হওয়ায়, এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। হিমাচল প্রদেশে বৃষ্টির প্রকোপ এখনই কমার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে স্থানীয় দপ্তর। দেরাদুনের আঞ্চলিক আবহাওয়া কেন্দ্রের ডিরেক্টর বিক্রম সিং জানিয়েছেন,১৩ এবং ১৪ অগস্ট, রাজ্যজুড়ে ভারী বৃষ্টি হবে। ইতিমধ্যেই রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বৃষ্টির জেরে ফুসে উঠেছে খাল-বিল এবং অন্যান্য জলাশয়গুলি। জলাশয়ের কাছাকাছি এলাকার বাসিন্দাদের রবি ও সোমবার বিশেষভাবে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হিমাচলের মন্ত্রী জগৎ সিং নেগি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত হিমাচল প্রদেশে বৃষ্টি সংক্রান্ত বিপর্যয়ের কারণে প্রায় ৮০০ বাড়ি ভেসে গিয়েছে। আরও ৭,৫০০টি বাড়ি ভেঙেচুরে গিয়েছে। রবিবার থেকে নতুন করে ভারী বৃষ্টি শুরু হওয়ায়, ফের বিপর্যয়ের আশঙ্কায় আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ।
বিপাশা নদীর জলস্তরও ফের বাড়তে শুরু করেছে। মান্ডি জেলার বালহ উপত্যকায় বন্যার জেরে আটকা পড়েছেন বহু পর্যটক। যার মধ্যে আছেন বিদেশিরাও। আবহাওয়ার কারণে চণ্ডীগড়-মানালি জাতীয় সড়কও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভূমিধসের কারণে রাজ্যের সোলান জেলার পারওয়ানুর কাছে চাক্কি মোড়ে ৫ নম্বর জাতীয় সড়কও সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাস্তাটি সংস্কারের কাজ চলছে। বৃহস্পতিবারই, এই রাস্তা হালকা যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, শুক্রবার ভোররাতেই ৫ নম্বর জাতীয় সড়কের সিমলা-কালকা পথে ধস নামে। স্থানীয় কর্তাদের মতে, ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে রাজ্য জুড়ে অসংখ্য জায়গায় ধস নেমেছে।