বসিরহাট: সুন্দরবনের সন্দেশখালিতে রায়মঙ্গল ও বড় কলাগাছি নদীর ৩০০ ফুট বাঁধ ভেঙে জলমগ্ন হয়ে পড়লে বিস্তীর্ণ এলাকা। ঘটনাস্থল সেচ দপ্তরের কর্মীরা গিয়ে কাজ শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, অমাবস্যার ভরা কোটাল পরবর্তী জলোচ্ছ্বাসের জেরই বসিরহাটের সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের মনিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তালতলা গ্রামে রায়মঙ্গল নদীর প্রায় ৩০০ ফুট বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। ইতিমধ্যে নদীর নোনা জল ঢুকতে শুরু করেছে আতাপুর, তালতলা ও মনিপুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে। ঘটনাস্থলে সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা গিয়ে বাঁশের পাইলিং দিয়ে বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করছে। একদিকে নদীর প্রচণ্ড স্রোত অন্যদিকে জলস্তর এতটাই বেড়ে যাচ্ছে যে বাঁধ পাইলিং করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সেচ দপ্তরের কর্মীদের। সামনেই আবার নিম্নচাপের আশঙ্কা জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। তাই নতুন করে সিঁদুরে মেঘ দেখছে সুন্দরবনবাসী। উত্তর ২৪ পরগণা জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিকাশের স্থায়ী সমিতির সদস্য শেখ শাহজাহান ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঁধের কাজ পরিদর্শন করেন। এছাড়াও সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রওফান মোল্লা ও মনিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রসেনজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও ঘটনাস্থলে যান। বসিরহাটের সেচ দপ্তরে আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঁধ মেরামতি কাজের তদারকি শুরু করেছেন। এই বাঁধ ভাঙার ফলে বাঁধ মেরামতি করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের। সেচ দপ্তরের আধিকারিক শান্তনু মণ্ডল বলেন, ‘নদীর বাঁধ অনেক বড়ভাবে ভেঙেছে। বাঁধ মেরামতির কাজ চলছে। আমরা চাইছি দ্রুত বাঁধ সারাই এর কাজ শেষ হোক। কারণ এর পরে আরও যদি বড় বিপর্যয় আসে সে ক্ষেত্রে আমাদের সতর্ক থাকতে হচ্ছে।’ শেখ শাহাজাহান জানান, প্রায় ১০০টির মতো বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রশাসন ও স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে ত্রান শিবির খুলে খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা ও ত্রিপল টাঙিয়ে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুপুরের পর ভাটা চলায় বাঁধের কাজ দ্রুত গতিতে শুরু হয়েছে। সন্ধ্যার আগেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক নিজে ফোন করে খোঁজখরব নিয়েছেন বলে জানান শেখ শাহাজাহান।