সেপ্টেম্বরে যদি তাঁর বদলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী লিজ ট্রাস, তাহলে সেই সরকারে তিনি কোনও ভূমিকায় কাজ করবেন না। মঙ্গলবার এমনই ইঙ্গিত দিলেন ঋষি সুনক। টোরি দলের নেতা হওয়ার দৌড়ে একেবারে শুরু থেকে এগিয়ে ছিলেন প্রাক্তন চ্যান্সেলর ঋষি। কিন্তু, শেষ দৌড়ে লিজ ট্রস অনেকটাই এগিয়ে আছেন। জনমত সমীক্ষার ফল লিজ ট্রাসকেই এগিয়ে রেখেছে। এই পরিস্থিতিতেই ঋষি সুনক ইঙ্গিত দিলেন, পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসতে না পারলে, নয়া সরকারে তিনি আর কোনও দায়িত্ব নেবেন না।
গত মাসে ব্রিটিশ সরকারের চ্যান্সেলর পদ থেকে আচমকা ইস্তফা দিয়েছিলেন ঋষি সুনাক। তারপর থেকে একের পর এক ব্যক্তি বরিস জনসন সরকার থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। যার জেরে শেষ পর্যন্ত সরতে বাধ্য হয়েছিলেন বরিস জনসন। এরপরই টোরি দলের পরবর্তী নেতা বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ছয় প্রতিদ্বন্দ্বীকে পিছনে ফেলে শেষ দৌড়ে রয়েছেন সুনাক এবং লিজ ট্রস। ট্রসের সঙ্গে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে তাঁর মতবিরোধে রয়েছে।
বিবিসি রেডিও ২ চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এদিন বলেছেন, ‘গত কয়েক বছরে সরকারে এবং মন্ত্রিসভায় থাকার বিষয়ে আমি একটি জিনিস বুঝেছি – আপনাকে সত্যিই বড় বিষয়গুলিতে একমত হতে হবে। কারণ, যখন আপনি একমত না হতে পারেন, তা হলে কাজ করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে যায়। যেমনটা আমার সঙ্গে হয়েছিল। আমি আবার এমন পরিস্থিতিতে পড়তে চাই না।’ জনমত সমীক্ষার ফলাফলগুলি ইঙ্গিত দিয়েছে, আগামী মাসে টোরি দলের নেতা বাছাইয়ের শেষ দৌড়ে হারতে চলেছেন ঋষি সুনক।