ভয়ংকর দুর্ঘটনার কবলে ঋষভ পন্থ। দেরাদুনের ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি তিনি। গাড়ি দুর্ঘটনায় পিঠ-সহ শরীরের একাধিক জায়গা পুড়ে গিয়েছিল টিম ইন্ডিয়ার উইকেটকিপারের। মুখে প্লাস্টিক সার্জারি করা হয়েছে। তবে শোনা যাচ্ছে, পরবর্তী চিকিৎসার জন্য পন্থকে দেরাদূন থেকে উড়িয়ে নিয়ে আসা হতে পারে দিল্লিতে। তাঁকে দিল্লির এএইএমস-এ ভর্তি করানো হতে পারে। শুধু তাই নয়, ক্রিকেটারের সঙ্গে থাকা মেডিকেল টিমের এক সদস্য বলেছেন, ‘অর্থোপেডিক বিভাগের ডঃ গৌরব গুপ্তার অবস্থার পর্যবেক্ষণ করছেন।
পন্থ স্থিতিশীল, কোনও প্রাণঘাতী চোটে ভুগছেন না। হাসপাতালে ওর সঙ্গে রয়েছেন ওর মা।’ ফলে আহত পন্থ যদি শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ও দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে আইপিএল না খেলতে পারেন, তাহলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।
এদিকে তারকা উইকেটকিপারের চোটের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এইমস-হৃষীকেশের স্পোর্টস ইনজুরি বিভাগের প্রধান ডক্টর কামার আজম বলেছেন, ‘লিগামেন্টের চোট থেকে সেরে উঠতে পন্থের কমপক্ষে তিন থেকে ছয় মাস সময় লাগবে। এবং যদি এটি গুরুতর হয়, তবে ওর আরও সময় লাগতে পারে। ওর বিশদ ইনজুরি রিপোর্টের ভিত্তিতে আরও মূল্যায়ন করা যেতে পারে।’
বিসিসিআই-এর তরফ থেকে একটি বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘ঋষভ পন্থের কপালের দু’টি জায়গায় ক্ষত রয়েছে। ডান হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়েছে। এমনকি ওর ডান হাতের কব্জি, গোড়ালি, পায়ের পাতায় চোট রয়েছে। পন্থের পিঠের পিছনের দিকেও মারাত্মক চোট রয়েছে। তবে গুরুতর জখম হলেও এখন অনেকটা ভালো আছেন পন্থ। প্রাথমিকভাবে তাঁকে দেরাদূনের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে আরও ভালো চিকিৎসার জন্য পন্থকে দেরাদূনের ম্যাক্স হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’ সেই প্রেস বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘বিসিসিআই ঋষভ এবং ওর পরিবারের পাশে রয়েছে। এবং প্রতি মুহূর্তে ডাক্তারদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে।’
পন্থের পরিবারের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রেখে চলেছে বোর্ড। চিকিৎসার জন্য বোর্ডের তরফে একটি মেডিক্যাল টিম তৈরি করা হয়েছে। এই মুহূর্তে ম্যাক্স হাসপাতালের যে সব চিকিৎসক পন্থের শুশ্রূষা করছেন, তাঁদের সঙ্গে বোর্ডের মেডিক্যাল টিম যোগাযোগ রাখছে। পন্থ যাতে সেরা চিকিৎসা পান সেটা নিশ্চিত করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বোর্ডে তরফে। এই ভয়ঙ্কর মুহূর্ত কাটিয়ে পন্থ যাতে দ্রুত বাইশ গজের যুদ্ধে ফিরতে পারেন, সেটার জন্য সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বোর্ডের তরফে।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। ২০ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে ক্রোড়পতি লিগ। চলবে ২৮ মে পর্যন্ত। এমন দুই মারকাটারি ইভেন্টের আগে পন্থ পুরো ফিট হতে পারবেন না। এমনটাই মনে করছেন এই অভিজ্ঞ শল্যচিকিৎসকরা। ঘরের মাঠে ও বিদেশে ভারতের টেস্ট জয়ে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন পন্থ। তাই তিনি মাঠের বাইরে থাকলে ভারতীয় দল ও দিল্লি ক্যাপিটালস বড় ধাক্কা খাবে। সেটা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই।