বড়সড় প্রতারণার শিকার হলেন ভারতীয় দলের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্থ। হরিয়ানার প্রাক্তন ক্রিকেটার মৃণাঙ্ক সিং ঋষভ পন্থকে সস্তায় বিলাসবহুল ঘড়ি পাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১.৬৩ কোটি টাকার প্রতারণা করেছে। মৃণাঙ্ক সিং নামের এই প্রতারক ব্যক্তি ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলে বন্দি। একজন ব্যবসায়ীকে ৬ লক্ষ টাকা প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত। ঋষভ পন্থ এবং তার ম্যানেজার পুনীত সোলাঙ্কি এই প্রাক্তন হরিয়ানার ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেছেন। ম্যানেজারের কথায়, মৃণাঙ্ক তাকে একটি বাউন্সড চেকের মাধ্যমে প্রতারণা করেছেন।
মৃণাঙ্ক ঋষভ পন্থকে সস্তায় কোটি টাকার ঘড়ি পাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ছিলেন। সেই সময়ে তিনি ভারতের অন্যান্য খেলোয়াড়দের উদ্ধৃত করে পন্থের বিশ্বাস অর্জন করেছিলেন। পন্থের অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে মৃণাঙ্ক পন্থ তার ম্যানেজার সোলাঙ্কিকে বলেছিলেন যে তিনি বিলাসবহুল ঘড়ি, ব্যাগ, গয়না ইত্যাদি কেনা-বেচা করার ব্যবসা শুরু করেছিলেন। তিনি বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের কথা উল্লেখ করেছিলেন। ওই পণ্যগুলি পন্থ এবং ম্যানেজারের কাছে বিক্রি করা হয়েছিল। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে, ভাল ডিসকাউন্ট এবং খুব সস্তা দামে বিলাসবহুল ঘড়ি এবং অন্যান্য আইটেম কিনতে পারার মতো টোপ দিয়েছিলেন।
অভিযুক্তের কথা বিশ্বাস করে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পন্থ অভিযুক্তের কাছে একটি বিলাসবহুল ঘড়ি এবং কিছু গহনা সামগ্রী পুনঃবিক্রয়ের জন্য হস্তান্তর করেছিলেন। পন্থ মোট ৬৫ লক্ষ ৭০ হাজার ৭৩০ টাকা দিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, ঋষভ পন্থ ফ্রাঙ্ক মুলার ভ্যানগার্ড ইয়টিং সিরিজ ঘড়ির সঙ্গে একটি রিচার্ড মিলে ঘড়ি কিনতে চেয়েছিলেন। যার জন্য তিনি যথাক্রমে ৩৬,২৫,১২০ এবং ৬২,৬০,০০ টাকা দিয়েছিলেন।