নিজস্ব প্রতিবেদন, বুদবুদ: তৃণমূল নেতার বাড়ি ঢুকে ভাঙচুর ও সদস্যদের মারধর ও তৃণমূল কর্মীকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে ঘিরে শুক্রবার সকাল থেকে চাঞ্চল্য ছড়ায় পূর্ব বর্ধমান জেলার বুদবুদ থানার অন্তর্গত দেবশালা গ্রাম পঞ্চায়েতের আউশগ্রাম দু’ নম্বর ব্লকের কাঁকোড়া গ্রামে। এই ঘটনায় শুক্রবার সকাল থেকে দেবশালা পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা।
কাঁকোড়া গ্রামের বাসিন্দা তথা দেবশালা অঞ্চলের তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি কাদের মণ্ডলের অভিযোগ, আউশগ্রাম থেকে প্রায় ৫০ জনের পুলিশের একটি দল তাঁর বাড়ির পাঁচিল টপকে বৃহস্পতিবার রাত একটা নাগাদ বাড়ির দরজা ভেঙে ঢুকে তাঁর ছেলে আসানুর মণ্ডলকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বাধা দিলে তাঁদের মারধর করা হয়। ‘পুলিশ শুধু বলতে থাকে, তোরা অনেক বড় নেতা হয়েছিস। রামকৃষ্ণ ঘোষের গোষ্ঠীকে সব শেষ করে দেব।’ গোটা বাড়িতে তাণ্ডব চালিয়ে শেষে গ্রামবাসীদের বাধায় পালিয়ে যায় পুলিশ।
গোটা ঘটনা বুদবুদ থানার পুলিশকে জানানো হলে, তারা ওই গ্রামে যায়নি বলে দাবি করে। এরপরেই সকাল হতে গ্রামের মানুষ দেবশালা পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। কাদের মণ্ডলের অভিযোগ, আউশগ্রামের দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ লালন গত ২০২১ সালে সেপ্টেম্বর মাসের ৭ তারিখ দেবশালা গ্রামের তৃণমূলের যুব নেতা চঞ্চল বক্সিকে খুন করিয়েছিল। টাকার জোরে তিনি নির্দোষদের ফাঁসিয়ে দেন। একজনকে জেলে ঢুকিয়েছেন। আরও কয়েকজনকে খুন করার পরিকল্পনায় রয়েছে। শেখ লালন টাকা দিয়ে পুলিশকে কাজে লাগাচ্ছেন বলে তাঁর অভিযোগ।
তাঁর দাবি, এই ঘটনায় তৃণমূলের উচ্চ নেতৃত্ব বৈঠকে বসবে বলে জানিয়েছে। ঘটনার প্রসঙ্গে বর্ধমান সদরের বিজেপির জেলা সহ সভাপতি রমন শর্মা জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন চলে না। শাসকের আইন চলে। আউশগ্রাম তার ব্যতিক্রম না। তৃণমূল নেতাকে খুন করিয়েছিল তৃণমূল নেতাই। সেদিন ঘটনার সময় বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল গ্রামে গিয়ে বলেছিলেন কিছুই ঘটেনি। একবছর ধরে তিনি জেল খাটলেও, খাতায় কলমে আজও অনুব্রত মণ্ডল বীরভূমের জেলা সভাপতি। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে।