আইপিএল হল জাতীয় দলে পা রাখার একটি মঞ্চ। আইপিএলের পারফরম্যান্সের উপর ভিত্তি করে মেন ইন ব্লু-র জার্সি গায়ে চ়ড়িয়েছেন, এমন উদাহরণ অনেক। রিঙ্কু সিংয়ের ক্ষেত্রেও তেমনটা ভাবা হয়েছিল। ভারতীয় দলে ডাক পাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। আইপিএলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর রিঙ্কুকে নিয়ে বহুবার এমন মন্তব্য করেছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজে অবশ্য রিঙ্কুর জায়গা হল না। ২০২৩ আইপিএলে রিঙ্কুর পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। কিন্তু অজিত আগরকরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় নির্বাচন কমিটি রিঙ্কুকে ব্রাত্য করেই রাখলেন। আলিগড়ের ব্যাটারের জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার অপেক্ষার বাড়ল। একইসঙ্গে সদ্য মুখ্য নির্বাচক পদে বসা অজিত আগরকরের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট ও ওডিআই দল নির্বাচনে ছিল চমক। টেস্টে চেতেশ্বর পূজারার বাদ পড়া, যশস্বী জয়সওয়াল, ঋতুরাজ গায়কোয়াড়, মুকেশ কুমারদের অন্তর্ভুক্তি দেখা গিয়েছে। বুধবার, টি-২০ সিরিজের দল ঘোষণা করে বিসিসিআই। আইপিএলের পারফরম্যান্সের জন্য টি-২০ স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন যশস্বী, ডাক পেয়েছেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের তিলক ভার্মা। তিন ফরম্যাটেই ডাক পেয়েছেন মুকেশ কুমার। দলে সিনিয়রদের বেশিরভাগই অনুপস্থিত। তরুণদের নিয়ে গড়া টি-২০ দলের নেতৃত্বে হার্দিক পান্ডিয়া। অথচ এক ওভারে পাঁচ ছক্কার নায়ক, আইপিএলের অন্যতম সেরা ফিনিশার রিঙ্কু সিং উপেক্ষিত থেকে গেলেন। এমন স্বপ্নের পারফরম্যান্সের পর রিঙ্কুর কথা কেন ভাবলেন না নির্বাচকরা? উঠছে প্রশ্ন। ৩ অগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ। নাইট রাইডার্সের বাঁ হাতি ব্যাটার সুযোগ পেলেন না কারণ সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া এবং সঞ্জু স্যামসনরা রয়েছে মিডল অর্ডারে। সোশ্যাল মিডিয়ায় রিঙ্কুর সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন নেটিজেনরা। ২০১৩ সালের আইপিএলে ১৪টি ম্যাচে ৫৯.২৫ গড়ে ৪৭৪ রান করেছেন রিঙ্কু। বর্তমানে দলীপ ট্রফিতে সেন্ট্রাল জোনের হয়ে খেলছেন।